বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার খ্যাতির সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের যতো গুলো শীর্ষস্থান আছে, তার সব গুলোতেই সাকিব বসে আছেন। সাকিবের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এতো বেশি লেখা তাঁকে নিয়ে লেখা হয়েছে যে, নতুন করে কিছু রচনা করার জন্য অবশিষ্ট নেই। তিনি ক্রিকেট থেকে যা পেয়েছেন, এর বিপরীতি দলকে কতটা সফলতা এনে দিতে পেয়েছেন তা অবশ্যই গবেষণার দাবী রাখে।
সাকিব আল হাসান মাঠের পারফর্মেন্স ছাড়াও অধিনায়ক হিসেবে দুর্দান্ত। তিনি যে কোন পরিস্থিতিতে সামাল দিতে পটু। তাঁকে মিডিয়া পাড়ায় কূটনৈতিক চালে পারদর্শী অধিনায়ক উপাধি দিয়েছে।
দল যতো খারাপ করুক না কেন, সাকিবের কাছে এর কোন না কোন জবাব তৈরি থাকে। কিন্তু আর কত? এই ‘আর কত’ দুইটা শব্দ বহু বার মিডিয়াতে প্রচার হয়েছে। কিন্তু তাতে টাইগার বাহিনীর মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া আজও দেখা যায়নি।
কিন্তু কত দিন এভাবে চলবে? সাকিব তো আজ ১০১তম টি২০ খেলতে নামবেন। অভিজ্ঞতার বিচারে তো তিনি এখন সেরা, আজ সাকিবকে জবাব দিতে হবে। এটা হতে পারে লঙ্কানদের বিপক্ষে হারের পর অথবা লঙ্কানদের বিপক্ষে মাঠে ব্যটে-বলে সফলতায়।
যদি মাঠে সফলতা পেয়ে যান, তাহলে দুই দিক দিয়ে লাভ, সাকিবের অধীনে দল এশিয়া কাপে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরের টিকিট পেয়ে যাবে। আর না হলে ম্যাচের পর ব্যর্থতার জবাব দিতে হবে।
তবে এটা ঠিক ইতিহাস বলে, হারের পর সাকিবের পকেটে হারের ব্যাখা জমা থাকে। যাই হউক না কেন, সাকিবকে আজ জবাব দিতে হবে, সেটা মাঠে ব্যাটে হউক বা ম্যাচের পর মুখের কথা দিয়েই হউক, জবাবের অপেক্ষায় পুরো দেশের ক্রিকেট পাগল ভক্তরা।