মাও জেদংয়ের পর চীনের দ্বিতীয় ক্ষমতাশালী নেতা হতে চলেছেন শি জিনপিং? ‘মহান নেতা’ বা ‘গ্রেট লিডার’-র উপাধি পেতে চলেছেন তিনি? চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ২০ তম সম্মেলনের আগে এই নিয়ে বিশ্বজুড়ে তুঙ্গে জল্পনা।

সূত্রের খবর, আপাতত প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরানো হচ্ছে না তাকে। সেক্ষেত্রে টানা তৃতীয়বারের জন্য ওই পদ পাবেন জিনপিং। বর্তমানে তাইওয়ান ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছে। পাশাপাশি, সীমান্তে আগ্রাসী মনোভাব দেখানোয় ভারত-চীন সম্পর্কেও এসেছে শিথিলতা। এই আবহে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ২০ তম পার্টি কংগ্রেসের দিকে তাকিয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক মহল।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এলে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে জিনপিং-কে। পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে বেইজিংকে। এমনকি তাইওয়ান ইস্যুকে কেন্দ্র করে যুদ্ধেও জড়িয়ে পড়তে পারে ড্রাগনল্যান্ড। প্রেসিডেন্ট পদ পেলে জিনপিং কীভাবে এইসব চ্যালেঞ্জ সামলাবেন, সেটাই এখন দেখার।

Adipolo
চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হবে ২০ তম পার্টি কংগ্রেস। প্রতি ৫ বছর অন্তর বেইজিংয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি। দু’সপ্তাহব্যাপী চলা এবারের সম্মেলনে ২ হাজার ৩০০ জন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। থাকবেন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সেন্ট্রাল কমিটির ২০০ জন সদস্য। পার্টির গঠনতন্ত্র মেনে সম্মেলন শেষে পলিটব্যুরোর সদস্যদের নির্বাচিত করবে সেন্ট্রাল কমিটি। দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটিতে রাখা হবে ২৫ জনকে। বর্তমানে পলিটব্যুরোতে রয়েছেন ৭ জন।

চীনা রাজনীতির বিশ্লেষকদের দাবি, এই মুহূর্তে জিনপিং-কে সরানোর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। শুধু তাই নয়, মাও জেদংয়ের পর তাকেই ‘মহান নেতা’ উপাধি দিতে পারে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, জিনপিং-কে সরালে গোটা বিশ্বের কাছে অন্য বার্তা যাবে। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমী দুনিয়া এটা প্রচার করতে পারে যে, ভয় পেয়ে প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন করেছে চীন। যা একেবারেই হতে দিতে চায় না বেইজিং। পাশাপাশি, মাও-র সঙ্গে তুলনা টেনে দেশের জনগণের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগাতে চাইছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি।

তাইওয়ার ছাড়াও আরও একটি সমস্যা গলায় কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে বেইজিংয়ের। সেটা হল হংকং। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এবার ক্ষমতায় এলে সেখানে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে চাইবেন জিনপিং। ফলে তিনি প্রেসিডেন্ট হলে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় উত্তেজনার পারদ চড়বে বলেই ধারনা কূটনৈতিক মহলের। সূত্র: টিওআই।