মহুয়া কমিউটার ট্রেন আশার আলো জ্বলেছিল নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের মানুষের মনে। তারা ভেবেছিলেন বেসরকারি এই কমিউটার সার্ভিস অধিকতর ভালো যাত্রীসেবা দেবে। কিন্তু সেই আশার গুড়ে বালি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে প্রতিনিয়ত অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল।
কমলাপুর থেকে মোহনগঞ্জ যেতে মহুয়া কমিউটার ট্রেনে একটি সিটের বিপরীতে কাটতে হয় তিনটি টিকিট। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক টিম ছদ্মবেশে মূল ঘটনা জানার চেষ্টা করে সত্যতা পেয়েছে অভিযোগের।
এছাড়া দাঁড়িয়ে যেতে চাইলে একটি সিটের সম্পূর্ণ ভাড়ার চেয়ে কমপক্ষে ১৫ টাকা বেশি ভাড়া গুনতে হয় বলে অভিযানে প্রমাণ পেয়েছে দুদক টিম।
টিকিটের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির সত্যতা পেয়ে স্টেশন ম্যানেজার এবং স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে টিম কথা বলে। তারা ইতোপূর্বে এরকম অভিযোগ পেয়েছেন বলে টিমকে জানান। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তাৎক্ষণিক ডিআরএম শফিকুর রহমান এবং ডিসিও (ডিভিশনাল কমার্শিয়াল অফিসার) শাহ আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদেরকে পায়নি দুদক।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তারের নেতৃত্বে পাঁচজনের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযান চালায়। এ সময় কমিউটার ট্রেনগুলোর টিকিটের যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা তা পর্যবেক্ষণ করে মহুয়া কমিউটার, তিতাস কমিউটার, রাজশাহী কমিউটার এবং জামালপুর কমিউটারসহ চারটি ট্রেনের সার্ভিস সেখানে দেখা গেছে।
চুক্তি অনুযায়ী, কমিউটার ট্রেন রেলওয়ের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে, ট্রেন সার্ভিস দেবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগী হিসেবে যাত্রীসেবা প্রদান করার কথা।
তবে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি এই কমিউটার সার্ভিসগুলো বাংলাদেশ রেলওয়ের আওতায় চললেও তাদের ওপর রেলওয়ের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে তারা ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ যাত্রীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে থাকে। ট্রেন আসার এক ঘণ্টা আগে তারা এই টিকিট বিক্রি শুরু করে।
অভিযোগের বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানিয়েছে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।