বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কারো দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ মিললে জড়িতদের বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার দুপুরে গাজীপুরের কোনাবাড়ি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালিকা) পরিদর্শণ শেষে সাংবাদিকরা শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে শিশু পালানো, লাশ হওয়া, মারামারি ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন করলে বিচারপতি এসব কথা বলেন।
এসময় গাজীপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ বেগম, গাজীপুরের নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) শামীমা আফরোজ হ্যাপী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড এর কর্মকর্তা (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) ফারাহ মামুন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এসএম আনোয়ারুল করিম, এটিএম তৌহিদুজ্জামান, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালিকা)-এর তত্বাবধায়ক কেএম ওবায়দুল্লাহ আল মাসুদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালক) পরিদর্শন করেন।
বিচারপতি আরো বলেন, টঙ্গীতে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালক)-এর চেয়ে কোনাবাড়ি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালিকা)-এর সাফিসিয়েন্ট একুমুডেশন রয়েছে। কোনাবাড়ির কারেকশন সেন্টারে খাওয়া-দাওয়া বাসস্থান সেটিসফেক্টরি মনে হয়েছে। কিন্তু টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে একুমুডেশন সংকট রয়েছে। সেখানে তিনশ’ আসনে ৮শ’জন শিশু বসবাস করছে। তাদের বাসস্থানের জন্য তড়িৎ ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন। তাদের ট্রেনিং, স্বাস্থ্য, মানসিক বিষয়গুলো আমাদের চিন্তা করতে হবে।
সারা দেশে অনেক বালক ক্রাইমের সঙ্গে জড়িত, সে ব্যাপারে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের মাননীয় চিফ জাস্টিসও এসব ব্যাপারে খুবই সোচ্চার। সেজন্য তিনি আমাকে এসব সেন্টার পরিদর্শনের দায়িত্ব দিয়েছেন।