শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ১৫ ই আগস্টে যারা সরাসরি হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল, শুধু তাদের বিচার করেছি। তার পেছনের সকল সহযোগী কুচক্রকে আমরা এখনও সরাসরি চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে পারিনি। সে কাজটি করার দাবি এখন জোড়ালো হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনাকে গত ৪১ বছরে অন্তত: ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। একাত্তরের ঘাতক, পচাত্তরের ঘাতক, ২০০৪ এর ২১ শে আগস্টের ঘাতক, ২০১৩-১৪ এর অগ্নি সন্ত্রাসের ঘাতকের দল এক ও অভিন্ন। আজও তারা আস্ফালন করে আরেকটি ১৫ই আগস্ট ঘটানোর জন্য। এজন্য সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে হবে। যেন কোনোভাবেই ঘাতকচক্র সফল হতে না পারে।

২৬ আগষ্ট শুক্রবার দুপুরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যিালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। দেশ স্বাধীনের পর এদেশ তখন মুজিবের দেশ নামে পরিচিত। বাঙালী মুজিবের বাঙালী। সে কারণে তিনি এ জাতি রাষ্ট্র গঠনের মহানায়ক।

অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, পাবনা-২ আসনের সাংসদ আহমেদ ফিরোজ কবির, পাবনা-৪ আসনের সাংসদ নুরুজ্জামান বিশ্বাস, অ্যাটকোর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, বাংলাদেশ সরকারি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. নূরজাহান বেগম। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান।

এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত স্মারক মূর‌্যাল ‘জনক জ্যোতির্ময়’ এ শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেন শিক্ষামন্ত্রীসহ অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের মাঝে গবেষণা সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানের শুরুতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর প্রামান্য চিত্র প্রদর্শণ করা হয়।