ঢাকার উত্তরা ও টঙ্গী এলাকার বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ৭৯.৯ শতাংশ ইতোমধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এরমধ্যে সাড়ে ২০ কিলোমিটার উড়াল সেতু ও রাস্তার ফিজিক্যাল নির্মাণকাজ ৭৯.২৪ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এ ধারা অব্যহত থাকলে আগামী ২০২৩ সালের জুনে চলাচলের জন্য এগুলো খুলে দেওয়া হবে। শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় বিআরটি প্রকল্পের কাজ ও করিডোর পরিদর্শণকালে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেছেন বিআরটি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুল ইসলাম।
শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের ফিজিক্যাল নির্মাণকাজ আরএসবি অংশের ১৬ কিলোমিটারের ৮২.৯ শতাংশ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও বিবিএ অংশের সাড়ে ৪ কিলোমিটারের ৭২.৩৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৭৯.৯ শতাংশ। শতভাগ সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারলে যথাসময়ে কাজ শেষ করা যাবে। বাকি কাজ সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় সক্ষমতা তাদের রয়েছে। তবে আমরা এখন পর্যন্ত শতভাগ কাজ পাইনি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছি। তাদেরকে তিনটি শর্ত পূরণ করতে বলা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ফান্ড ও লোকবলের ঘাটতি দূর করা এবং মেজর সেফটি শতভাগ নিশ্চিত করা। শর্তগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কাজ শুরুর অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে শীঘ্রই শর্ত পূরণের পর কাজ শুরু হবে। এসব শর্ত পূরণে চাপ অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে মেজর কাজগুলো শেষ হবে। বাকি কাজ ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে সম্পন্ন হবে। ওই বছরের জুন নাগাদ প্রকল্পটি চালু করা যাবে বলে আমরা আশা করি।
জসীমউদ্দিনে গার্ডার দুর্ঘটনার বিষয়ে বিআরটি’র প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টির তদন্ত চলছে। কার কার দায় আছে, সেটি তারা দেখবে। তবে কনসালটেন্টেরও দায়িত্ব থাকে।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, এ প্রকল্পের আওতায় এয়ারপোর্ট উড়াল সেতু, জসীমউদ্দিন উড়াল সেতু, হাউজবিল্ডিং থেকে স্টেশন পর্যন্ত নির্মিত উড়াল সেতু, টঙ্গীতে উড়াল সেতু অংশে নির্মাণাধীন স্টেশন, সমতলে নির্মাণাধীন স্টেশন (তারাগাছ স্টেশন), বিআরটি করিডোরের নির্বাচিত সড়কের অংশ, গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা স্টেশন ও উড়াল সেতু, গাজীপুরের নলজানীতে বিআরটি ডিপো রয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবং ঢাকা বিআরটি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এ এম আমানুল্লাহ নুরীর নেতৃত্বে রাজধানীর বিমানবন্দরের বলাকা কার্যালয়ের সামনে থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ পরিদর্শণকালে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ), সেতু কর্তৃপক্ষ, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।