নানা জল্পনা-কল্পনার পর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার করার কথা জানালো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে কত আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এই মুহুর্তে ইসির ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সক্ষমতা রয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসির এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত মাসে অনুষ্ঠিত ইসির সংলাপে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ইভিএম ব্যবহারে আপত্তি তুলেছিল। এমনকি দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি ও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করে আসছে। এছাড়া সুশীল সমাজের পক্ষ থেকেও ভোট দেওয়ার পর যাচাইকরণের ব্যবস্থা না থাকায় ইভিএম ব্যবহারে আপত্তি এসেছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ একাধিক কমিশনার এতদিন বলে আসছেন, ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি ইসি। সংলাপে পাওয়া মতামতকে বিবেচনায় নিয়ে এ বিষয়ে ইসি সিদ্ধান্ত নিবে। এমন পরিস্থিতিতে রোববার ইসির নতুন এই সিদ্ধান্তের কথা জানান সাবেক ইসি সচিব ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধীতার বিষয়ে ইসির অবস্থান তুলে ধরে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, তারা কেন ইভিএমের বিপক্ষে বলেছেন সেটা কমিশন বলতে পারছে না। রাজনৈতিক ব্যাপার তো খোলসা করে বলবে না। রাজনৈতিক কৌশল থাকতে পারে। এছাড়া বিএনপি তো আলোচনায় আসেনি। ইভিএম নিয়ে তারা যেটা প্রচার করে সেটার প্রমাণ দিতে বলা হলেও তারা দেয়নি। আপনি যখন আদালতে এসে সাক্ষী দেবেন না, প্রমাণ দেবেন না, সেখানে আমরা কতটুকুই বা গুরুত্ব দিতে পারি? তাদের তো ক্লিয়ার করতে হবে।

ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে আগামী সপ্তাহে ইসির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কতগুলো আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে সেই বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ইসি তার সক্ষমতা ও যৌক্তিকতা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসনে ইভিএম ব্যবহার করবে।

তিনি আরও বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল ৩০০টি আসনে ইভিএম চায়, অন্যদিকে কোনো দল একটি আসনেও চায় না। ইসির পক্ষে সবার কথা সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব নয়। ইসির সক্ষমতা ও ইভিএমের যৌক্তিকতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।