বাংলাদেশের সিনিয়র তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান একাধিক পজিশনে ব্যাট করেছেন। কিন্তু সাকিবকে ওপেনারের ভূমিকায় কমই দেখা গেছে। প্রথম বার সাকিব ওপেনারের ভূমিকায় ক্রিজে নেমে ছিলেন গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সে ম্যাচে ৯ রানের বেশি করা সম্ভব হয়নি সাকিবের। বাংলাদেশ দল বার বার ওপেনিং নিয়ে সমস্যায় পড়ছে। বহু বার গবেষেণা করেওে ওপেনিং জুটি নিয়ে সমাধান পায়নি, বিশেষ করে তামিম ইকবাল টি-২০ কে ‘না’ বলে দেবার পর থেকে। এবার টি২০ এশিয়া কাপে দলের ওপেনিং জুটি নিয়ে তাই তো আগে ভাগে পরিকল্পনা সাঁজিয়েছে বিসিবি টিম ম্যানেজম্যান্ট।
হতে পারে সচরাচর যারা ওপেনিং করেন তাদের বাদ রেখে মিডল অর্ডার থেকে টেনে ওপেনিংয়ে আনা হবে পারে। সে হিসেব বা পরিকল্পনায় আসন্ন এশিয়া কাপে প্রয়োজন হলে সাকিব ইনিংস উদ্বোধন করতেও পারেন। শুধু সাকিব নন, মুশফিকুর রহিমকেও বিবেচনা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
যদিও দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মুশফিক কখনোই ইনিংসের শুরুতে মাঠে নামেননি। দলের এমন ভাবনার পেছনের কারণ, এশিয়া কাপের ১৭ জনের দলে ওপেনার আছেন কেবল এনামুল হক বিজয় ও পারভেজ হোসেন ইমন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে দলে ওপেনারের ছড়াছড়ি থাকলেও এশিয়া কাপের স্কোয়াডে উল্টো চিত্র। মিডল অর্ডারের জন্য অনেক বিকল্প থাকলেও বাড়তি কোনও ওপেনারই রাখা হয়নি দলে। এজন্য বিকল্প ভাবতেই হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে।
খালেদ মাহমুদ যাদের নাম বললেন, তাদের মধ্যে কেবল মুশফিকই ওপেনিং করেননি। এশিয়া কাপে তাকে ইনিংস উদ্বোধন করতে দেখলে অবাক হওয়ার থাকবে না। গত এশিয়া কাপে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ধারাবাহিক ব্যর্থ হলে লিটন ও মিরাজকে দিয়ে ফাইনালে ওপেনিং করান অধিনায়ক মাশরাফি। দুজনের শতরানের জুটি ম্যাচে রোমাঞ্চ ছড়ায়। বাংলাদেশ ম্যাচটি জিততে না পারলেও তাদের জুটি প্রশংসিত হয় সর্বত্র।
এর আগে শেখ মেহেদী হাসানকেও ইনিংস উদ্বোধন করতে দেখা গেছে। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট শুরুতেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন না। নিয়মিত ওপেনার এনামুল ও ইমনই ইনিংস উদ্বোধন করবেন। তারা ব্যর্থ হলে বিসিবি ভিন্ন পথে আগাবে