স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ সোমবার ভারতজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘আজাদি কি অমৃত’ মহোত্সব। আজ ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসের আনন্দে মাতোয়ারা ভারত। ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকায় সেজে উঠেছে গোটা ভারত।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে এবার দেশজুড়ে বৃহৎ আকারে পালিত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস। দিল্লি, কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাইসহ ছোট-বড় সব শহরে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।
এদিন রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর লালকেল্লায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে স্বাগত জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর সকাল সাড়ে ৭টায় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দেশীয় কামান থেকে ২১ বার তোপধ্বনি করা হয়। এরপর লালকেল্লা থেকে জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি।
সকাল ৭টা ৩৩ মিনিটে লালকেল্লায় ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। এবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, শুধুমাত্র রাজনীতি নয়। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ, পরিবারতন্ত্র রয়েছে। এবার সেই জাল থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদি বলেন, ‘ভাই-ভাতিজাতন্ত্রে দেশের মঙ্গল হয় না।’ একইসঙ্গে দুর্নীতি নিয়েও কড়া বার্তা দিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দেশ দুটি বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। পরিবারতন্ত্র ও দুর্নীতি। এই দুইয়ের বিরুদ্ধেই সচেতনতা বাড়াতে হবে। দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে।’
লালকেল্লায় দাড়িয়ে মোদি বলেন, ‘বিশ্বের সামনে এক নতুন ভারতের পুনর্জন্ম হয়েছে। এই বদলে যাওয়া ভারতের মানসিকতা বিশ্বের সমীহ আদায় করেছে। এক শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে ভারত নিজেকে তুলে ধরতে সমর্থ হয়েছে।’
মোদি এ সময় পাঁচটি সংকল্পের কথা ঘোষণা করেন। সেগুলোর মধ্যে প্রথম সংকল্প- বিকশিত ভারত, দ্বিতীয় সংকল্প- দাসত্ব থেকে মুক্তি, তৃতীয় সংকল্প- উত্তরাধিকার নিয়ে গর্ব, চতুর্থ সংকল্প- ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং পঞ্চম সংকল্প- নাগরিক কর্তব্যে অবিচল থাকতে হবে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশ ও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কুচকাওয়াজের আয়োজন করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছেন জওয়ানরা। সিকিমে ১৮ হাজার ৮০০ ফুট উচ্চতায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তাঁরা। উত্তরাখণ্ডে সাড়ে ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। অরুণাচলের তাওয়াং ও লাদাখে প্যাংগং লেকের ধারে জাতীয় পতাকা নিয়ে প্রভাতফেরি করেন জওয়ানরা।