সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ বলেছেন, আমি আওয়ামী লীগে ছিলাম, আছি ও থাকব। বরাবরই বলে এসেছি, আমাকে যদি প্রয়োজন হয়, যখন ডাকবেন আমাকে তখনই পাবেন।

সোমবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ এসব কথা বলেন।
রাজনীতিতে ফিরছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দিন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ বলেন, আসলে আমি তো রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার পিতা শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মহান মুক্তিযুদ্ধের নতৃত্ব দিয়েছেন। আমার মা ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। আমাদের রক্তের ভেতরে আওয়ামী লীগ। আমিও আওয়ামী লীগে ছিলাম, আছি এবং থাকব।

দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতি বঙ্গবন্ধুর যেই অবদান, সেটি সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে। সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হবে। আমাদের সেই সোনার মানুষ, ভালো মানুষ তৈরি করতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। শোকাহত এই দিনে আমাদের সবারই শপথ নেওয়া উচিত, নিজেদের ভালো মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

সোহেল তাজ আওয়ামী লীগে ফিরছেন বলে গত কিছুদিন ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে তাকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।

তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বত্বাধীন মহাজোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় মন্ত্রিসভা থেকে তার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়। ৯ জুন ‘এক মাসের ছুটিতে’ আমেরিকা যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে পদত্যাগের কথা অস্বীকার করেন সোহেল তাজ।

এর প্রায় দেড় মাস পর ১৯ জুলাই ওয়াশিংটনের বার্তা সংস্থা নিউজ ওয়ার্ল্ডের কাছে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের কথা স্বীকার করে সোহেল তাজ জানান, আমেরিকা যাওয়ার আগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এসেছেন তিনি।

ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর পদত্যাগী স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য করার পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পদে অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুকে সোহেল তাজের স্থলাভিষিক্ত করা হয়। পরে দেশে ফিরে সংসদ সদস্যের পদ থেকেও ইস্তফা দেন সোহেল তাজ। প্রথমে মন্ত্রিত্ব ও পরে সংসদ সদস্য পদ ছাড়ার পর রাজনীতি থেকেও দূরে সরে যান তিনি। তবে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।