গাজীপুরের ৩টিসহ ১৪টি কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠাণকে মোট ৫৬ লাখ ১১ হাজার ১০৪ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট উইং। পরিবেশ দূষণ ও বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫( সংশোধিত-২০১০) লংঘনের দায়ে এ জরিমানা করা হয়। রবিবার পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা সদর দপ্তরের উপ পরিচালক (মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট) ইয়াসমিন আক্তার এ তথ্য জানিয়েছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা সদর দপ্তরের ওই কর্মকর্তা জানান, পরিবেশ দূষণ ও বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫(সংশোধিত-২০১০) লংঘন বিরোধী অভিযান ও পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং) মোহাম্মদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারী গাজীপুর জেলার ৩টিসহ ঢাকা জেলার ২টি, নারায়নগঞ্জের ৩টি, রংপুরের ৪টি ও টাঙ্গাইল জেলার ১টি সহ সর্বমোট ১৪টি কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক/প্রতিনিধিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা সদর দপ্তরে এনফোর্সমেন্ট উইংয়ে তলব করে শুনানী গ্রহণ করেন। শুনানী শেষে পরিবেশগত ও অবস্থানগত ছাড়পত্র গ্রহণ ও ইটিপি ব্যাতিত কারখানা/জেনারেটর স্থাপন ও পরিচালনা করে এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর দূষিত/নির্ধারিত মানমাত্রা বহির্ভূত বর্জ্য অপরিশোধিত অবস্থায় সরাসরি পরিবেশে নির্গমন করে জনজীবন এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন করায় ওই ১৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠাণকে মোট ৫৬ লাখ ১১ হাজার ১০৪ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করে জরিমানা করেন।
এরমধ্যে গাজীপুরের আকিজ বেকার্স লিমিটেডকে ১ লাখ টাকা, আমানা রেস্টুরেন্টকে ৩০ হাজার টাকা ও নীটেক্স ড্রেসেসকে ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯২০ টাকা, ঢাকার পল্টন চায়না টাউনকে ২লাখ ১০ হাজার টাকা ও আমান নীটিংস লিমিটেডকে (সাভার) ৫৩ হাজার ৭৬০ টাকা, নারায়নগঞ্জের এম এস ডাইং প্রিন্টিং এন্ড ফিনিশিং লিমিটেডকে ৯২ হাজার ১৬০ টাকা, সিলকেন টেক্সটাইল ডাইংকে ২ লাখ ৯ হাজার ২৮০ টাকা ও লাকী ডাইং এন্ড প্রিন্টিং মিলস্কে ৪৮ হাজার ৩৮৪ টাকা, রংপুরের মেসার্স আব্দুল্লাহ টোবাকো-০১, মেসার্স আব্দুল্লাহ টোবাকো-০২, মেসার্স আব্দুল্লাহ টোবাকো-০৩ ও মেসার্স আব্দুল্লাহ টোবাকো-০৪কে ৩০ হাজার টাকা করে, মানিকগঞ্জের করবেল কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজকে ২ লাখ ৯ হাজার ৬শ’ এবং টাঙ্গাইলের নাসির স্ট্যার্চ অয়েল এন্ড অ্যানিমেল ফিড ইন্ডাস্ট্রিজকে ৪২ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য্য করা হয়।
এর আগে মনিটরিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট টিম ওইসব কারখানাসহ বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। এসময় তারা নমুনা সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণের ফলাফলে পরিবেশ দূষণ ও বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫(সংশোধিত-২০১০) লংঘনের সত্যতা দেখতে পান, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।