গাজীপুরের কালীগঞ্জে বজ্রপাতের ভয়ে পিকনিকের ট্রলার থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাপ দেয়ার দু’দিন পর এক যুবকের লাশ ভেসে উঠেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিহত ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে। শনিবার কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের সাওরাইদ এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের নাম- রুপাই হোসেন ভ’ইয়া (২১)। তিনি কালীগঞ্জ পৌরসভার বাঘেরপাড়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। তিনি মাহেন্দ্র’র চালক ছিলেন।
কালীগঞ্জ থানার এসআই আব্দুল করিম ও ফায়ার সার্ভিসের কালীগঞ্জ স্টেশনের টিম লীডার শামীম ভ’ইয়া জানান, গত বৃহষ্পতিবার কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বাঘেরপাড়া গ্রাম থেকে রুপাইসহ কয়েকজন পিকনিক করতে ইঞ্জিন চালিত একটি ট্রলারে চড়ে শীতলক্ষ্যা নদী পথে শ্রীপুর উপজেলার বরমীর দিকে যাচ্ছিল। পথে কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের সাওরাইদ এলাকায় পৌছলে হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাত হয়। এতে ট্রলারে থাকা সবাই ভয় পেয়ে যায়। এসময় পেছনের দিকে বসা রুপাই হোসেন ভয় পেয়ে ট্রলার থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাপ দিয়ে নিখোঁজ হন। এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল নদীতে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায় নি। ঘটনার দু’দিন পর শনিবার তার লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিহত রুপাই হোসেনের লাশ নদী থেকে উদ্ধার করেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।