চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের ট্রেন-মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া সাত জনের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়াতুল ইসলাম আয়াত মারা গেছেন। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১২ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার (৫ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের আইসিইউর চিকিৎসক সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রণয় কুমার দত্ত। তিনি বলেন, সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিউরো-সার্জারি বিভাগ থেকে আহত আয়াতুল ইসলাম আয়াতকে (২০) আইসিইউতে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। তার মাথায় আঘাত ছিল, মাল্টিপল ট্রমাসহ বিভিন্ন সমস্যা ছিল তার। আজ দুপুর দেড়টার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত আয়াত হাটহাজারীর চিকনদন্ডী ইউনিয়নের খন্দকিয়া পাড়ার আব্দুর শুক্কুরের ছেলে।
সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে আরও ৫ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এছাড়া ইমন নামে একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দুপুরে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হয়। এ ঘটনায় সাতজন আহত হন। হতাহতরা হাটহাজারী জুগিরহাট আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টার থেকে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনায় গিয়েছিলেন। ঝরনা থেকে ফিরে আসার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।