টি-২০ সিরিজে হারের পর আজ দুপুরে জিম্বাবুয়ের হারারে ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে শুরু হয়েছে ৩ ম্যাচের ওডিআই সিরিজ। বাংলাদেশ টস হেরে ব্যাট করতে নেমেছে। টি-২০ ম্যাচে না পারলেও, ওডিআই ম্যাচে বাংলাদেশ কি পারে সেটা বেশ ভালই বুঝতে শুরু করেছে জিম্বাবুয়ে, স্কোর ২১৩/১, ৪০ ওভার শেষে। আর ৫০ ওভার শেষ হলো ৩০৩রানে, উইকেট খরচা গেল ২টি। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে ২ উইকেটে ৩ শত রানের কোটা পেরিয় যাওয়া প্রধম বার ঘটল। জিম্বাবুয়ের সামনে টার্গেট ৩০৪।
এবার নিয়ে ২৩ বার বাংলাদেশ ওডিআই ম্যাচে ৩ শত রানের কোটা স্পর্শ করেছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে — রান টাইগারদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, এর আগে ২০২০ সালে সিলেটে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেছিল ৩২২ রান।
ওপেনিং জুটিতে অধিনায়ক তামিম ইকাবল আর লিটন কুমার দাস ব্যাট করতে নামেন। কোন সুযোগ া দিয়ে দেখে-মুনেই খেলেছে ওপেনিং জুটি। যে কারণে ২৪ ওভারে বিনা উইকেটে ১০৯ রান। তামিম ৫৭ আর লিটন ৪২ রানে চিলেন। অনেকটা পথ ওপেনিং জুটি পাড়ি দিল। ২৫.৪ ওভারে তামিম সেকান্দর রাজার বলে বিগ হিট করতে গেলে বল আকাশে উঠে যায়, যা হবার তাই তামিম ৮৮ বলে ৯ বাউন্ডারি দিয়ে ৫৪তম ওডিআই ফিফটি করে সাঁজ ঘরে ফেরত গেলেন।
এরপর লিটন সঙ্গী পেলেন এনামুল হককে। এই জুটিও ভালই দেখালো জিম্বাবুয়ের স্পিনার আর পেসারদের। লিটন ৬ষ্ঠ ওডিআই সেঞ্চুরির পথে হাটছেন (৮৮ রান) আর এনামুল ১৭ রানে ব্যাট করছেন। ৩৩.১ ওভারে দলীয় ১৭১ রানে ব্যক্তিগত ৮১ রানে থাকা লিটন পায়ের রগে টান লেগে মাটিতে পড়ে যান। তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যেতে বাধ্য হয় গ্রাউন্ড কর্মীরা। লিটনের বদলে মাঠে এলেন মুশফিক।
বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪০ ওভারে ২১৩/১, এনামুল হক ৪৩ আর মুশফিক ১৫। এরপরই এনামুল বাউন্ডারি মেরে ফিফটি পূরণ করেন ৪৭ বলে। দলের স্কোর ১৭১ থেকে ২৬৭ রানে যাবার পথে ৪৫.৫ ওভারে এনামুল হক ৬২ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কার মার দিয়ে ৭৩ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরত গেলেন। ওডিআই ক্যারিয়ারে ৪র্থ সেঞউচরি মিস করলেন এনামুল হক।
মুশফিক ৩৭ বলে ৪ বাউন্ডারি দিয়ে ৪১ রানে ফিফটির পথে, নতুন সঙ্গী পেলেন রিয়াদকে। শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ারের ৪২তম ওডিআই ফিফটি পকেটে জমা করেই মুশফিক ড্রেসিং ফের গেলেন। এটা ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুশফিকের ১১তম ফিফটি। আর রিয়াদ অপরাজিত রইলেন ১২ বরে ২০ রানে।