দেশের হাওড়, গ্রাম ও দুর্গম এলাকা ফোর-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইভ-জির আগে ফোর-জি নেটওয়ার্ক সারা দেশে সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। গণভবন থেকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
দেশের হাওড়, গ্রাম ও দুর্গম এলাকা ফোর-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইভ-জির আগে ফোর-জি নেটওয়ার্ক সারা দেশে সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। গণভবন থেকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মনে করেন আগে ফোর-জি সেবা উন্নতি করা উচিত। সেই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করার লক্ষ্যে এ প্রকল্প স্থগিতের নির্দেশ দেন একনেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, যেহেতু সরকার কৃচ্ছসাধন করছে এবং টেলিটকের ফাইভ-জি প্রকল্পের বড় অংশই আমদানিনির্ভর। তাই ডলার ব্যবহারের ওপর চাপ কমাতেই প্রকল্পটি বাদ দেওয়া হয়েছে। আর আপাতত দেশে ফাইভ-জি কাভারেজের চেয়ে ফোর-জির পরিধি বাড়ানো জরুরি। সেই আঙ্গিকে মোবাইল অপারেটরদের কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তবে সার্বিকভাবে বিদেশি ঋণ প্রকল্পের পরিধি কমবে কিনা সে বিষয়ে আলোচনা হয়নি।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে টেলিটকের ফাইভ-জি দরকার নেই। ফোর-জি গ্রাম ও হাওর এলাকায় সার্ভিস পাচ্ছে না। ফোর-জি আগে আপডেট করো, তারপর ফাইভ-জি। এই মুহূর্তে ব্যয় সংকোচন করছি।

মঙ্গলবার ২ হাজার ৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। মোট ব্যয়ের মধ্যে বৈদেশিক অর্থায়ন ১২২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব মামুন-আল রশীদ, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সত্যজিৎ কর্মকার, তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং আইএমইডির সচিব আবু হেনা মোরশেদ প্রমুখ।