সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থী কলেজ গেটে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজার হামলায় আহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে কলেজ শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সসহ সব ধরনের যানবাহন হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন। এদিকে রাত সাড়ে ১১টায় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
সোমাবার (১ আগস্ট) দিনগত রাত ১০টা থেকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফটক বন্ধ করে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। রাত একটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এ ঘটনার জেরে আজ রাত নয়টায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল খালিকের ভাতিজা আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে বহিরাগতরা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে দুই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। হামলায় আহতর শিক্ষার্থী রুদ্র নাথ ও নাইমুর রহমান ইমনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী শাহ অসিম ক্যানেডি বলেন, দুইদিন আগে এক ইন্টার্ন চিকিৎসক আপুর সাথে স্থানীয় কাজলশাহ এলাকার এক রোগীর দুজন স্বজন খারাপ ব্যবহার করেন। আমরা তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেই। তিনি বলেন, এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে আজ রাত ৯টায় কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে বহিরাগতরা আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। এতে দুজন গুরুতর আহত হন।
তিনি আরও বলেন, আগেও অনেকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এর বিচার না হওয়ায় বার বার এমন ঘটনা ঘটছে। তাই আজ আমরা রাস্তায় নেমেছি। এ ঘটনার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমরা সড়ক ছাড়বো না।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহমদ মুন্তাকিম চৌধুরী বলেন, এই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা ধর্মঘট ডেকেছি। হামলাকারীদের গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আমরা কাজে যোগ দেবো না।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, কাজলশাহ এলাকার আব্দুল্লাহ নামের এক ছেলের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা তাকে ধরতে কাজ করছি। শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করছে।
বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানান, আমরা হামলাকারীকে শনাক্ত করেছি। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলতে কাজ করছি। আশা করি কিছুক্ষণের মধ্যে অবরোধ প্রত্যাহার করাতে পারবো।