করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতে মাধ্যমিকের পর এবার ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরাও টিকা পেতে যাচ্ছে। শুরুতে স্বল্প পরিসরে রাজধানীর কয়েকটি স্কুলে পরীক্ষামূলকভাবে এই কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পক্ষকালব্যাপী সেবা পক্ষ পালন কর্মসূচির উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এ তথ্য জানান।

খুরশীদ আলম বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশে এলেই দিনক্ষণ ঠিক করে এই কার্যক্রম শুরু করা হবে। ঢাকার যেসব এলাকায় সংক্রমণ বেশি, সেসব এলাকায় আগে টিকা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই টিকা দেওয়া হবে। স্কুল শিক্ষার্থীদের দেওয়ার হবে ফাইজারের বিশেষ টিকা।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ব্লাড সুগার পরিমাপ, ব্লাড প্রেসার পরিমাপ, স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিভিন্ন সংক্রমণ ও অসংক্রমক রোগ প্রতিরোধক সচেতনতা কর্মসূচি, দুরারোগ, লিভার রোগ, স্ট্রোক, জরায়ু ক্যানসার ইত্যাদি রোগ স্ক্রিনিং ও প্রতিরোধ; স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও শরীর চর্চার গুরুত্ব প্রদান। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগ ও ইউনিটে বিভাগ ভিত্তিক স্বাস্থ্য সচেতনতা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মসূচির পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

এসময় স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, শিশুদের টিকা নিয়ে আমাদের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সুরক্ষা অ্যাপ বাচ্চাদের নিবন্ধনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে নিবন্ধন শুরু হয়ে গেছে।

শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কাছে চার কোটি ৪০ লাখ টিকার চাহিদা পাঠায় সরকার। সে অনুযায়ী গত ৩০ জুলাই ১৫ লাখ দুই হাজার ৪০০ ডোজ টিকা পাঠায় ডব্লিউএইচও।

দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে প্রায় দেড় বছর আগে করোনা টিকাদান শুরু করে সরকার। পরে সেটি কমিয়ে ৭০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। ইতোমধ্যে প্রায় ১৩ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। পরিধি বাড়াতে প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের পর এবার ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।