আগের দিন ২০৫ রান জমা করে বাংলাদেশের বোলিংকে প্রশ্নের মুখে ফেলে ১৭ রানে জয় তুলে ছিল স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। টস জিতে আগে ভাগে ব্যাট করতে নেমে পড়া জিম্বাবুয়ে আজও টস জিতে ব্যাট করতে নামে। কিন্তু জিম্বাবুয়ে আজ ৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুকতে শুরু করে। ৩১ রানে ৫ উইকেট হারানো স্বাগতিকরা শেষ অবদি ১৩৫/৮ রানে পা রাখবে সেটা অবশ্যই বোলিংয়ের কারণেই। দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে জয় না পেলে বাংলাদেশ আজ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরে যাবে।

আগের দিনের মতো ্আজও টসে হেরে বাংলাদেশ বোলিং করতে নামে। তবে আজ গতকালের মতো হয়নি, প্রথম ওভারে ২ উইকেটের পতন ঘটিয়ে। আর ৫১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিকদের বাঁচিয়ে দিল সেকান্দর রাজার টানা পর ফিফটি ইনিংস। আগের দিন অপরাজিত রাজা আজও ফিফটি হাঁকালেন ৪৪ বলে ৪টি চার আর ১টি ছক্কার মার দিয়ে।

স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ঝড়ে উড়ে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডারের সব যোগ্যতা। জিম্বাুবুয়ে রানের খাতা খোলার আগেই ওপেনিং জটি ভেঙ্গে দিলেন সৈকত, শূণ্য রানে ১ম, ৫ রানে দ্বিতীয় আর ৬ রানে তৃতীয় উইকেট পতন ঘটানো সৈকত থেমে গেলে না। আগের দিন টপ স্কোরার সেকান্দর রাজা  টিকে থাকলেও উইলিয়ামসকে সৈকত ফিরতি ক্যাচ বানালে ৪র্থ উইকেটের পতন ঘটে, স্কোর ২০ রানে ৪।

এরপর ইনিংসের ৭ম ওভারের শেষ বলে (৬.৫) মিল্টন সিম্বুলাকে ক্যাচ দিতে বাধ্য কররেন সৈকত, এবার স্কোর ৩১/৫! সৈকতের বেলিং ফিগার ৪ ওভারে ২০ রানে ৫ উইকেট। ক্যারিয়ারে ২০তম টি-২০ খেরতে নেমে ৫ উইকেট শিকার সৈকতের প্রথম।

এই অবস্থা থেকে জিম্বাবুয়েকে টেনে তোলার কাজটা করলেন রাজা আর রাইয়ান ৬ষ্ঠ জুটি। ৩২ রানে রাইয়ানের  আর  রাজা ৬০ রানে আউট হলেন। আউট হবার আগে রাজা-রাইয়ান জুটি লড়াই করার পুঁজি তৈরি করে দেন।