অবশেষে জয় এলো, ৭ উইকেটের জয়। আর সেটা ১৫ বল না খেলেই টাইগার বাহিনী আয়ত্ব করেছে আজ হারারে ক্রিকেটে গ্রাউন্ডে। ১-১ ব্যবধানে সিরিজে সমতা এনে আজ বাংলাদেশ জিম্বাবুূয়েকে নিজেদের যোগ্যতার প্রমান দিয়েছে। কারণ আগের দিন ১৭ রানের হারের বিষয়টি টাইগারদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। মঙ্গলবার সিরিজের শেষ ও তৃতীয় ম্যাচটি এখন ফাইনালে রূপ নিয়েছে।

প্রথমম্যাচের মতো আজও টস হেরে আগে বল করতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম ওভারেই সৈকতের ২ উএকট শিকারের ফলে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। ৩১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা ছিল জিম্বাবুয়ে। সৈকত ক্যারিয়ারে এটা টি-২০ ম্যাচে প্রথম বার ৫ উইকেট শিকার করলেন।

কিন্তু সৈকত জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সেকান্দর রাজা আর রই্য়ানকে আটকাতে পারেনি। ৩১ রান থেকে দলকে ১৩৫ অবদি নিয়ে যেতে রাজা করলেন ৬০ আর রােইয়ান করলেন ৩২ রান।

১৩৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে লিটন আর মুনিম শাহরিয়ার ৩৭ রান যোগ করলেন।  মাত্র ব্যক্তিগত ৭ রানে শাহরিয়ার ফেরত গেলও , লিটন ফিফটি না করে থামলে না। দলীয় ৭৮ রানে লিটন ৩৩ বলে ৬টি বাউন্ডারি আর২টি ছক্কার মার দিয়ে ৫৬ রানে এলবি’র ফাঁদে পড়লেন।

এরপর ওয়ান ডাউনে নামা আনামুল করলেন ১৫ বলে ১৬, তবে মিডল অর্ডারে আফিফ শেষ অবদি টিকে থাকলেন। ৩ উইকেটে ৮১ থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া পর্যন্ত আফিফের সঙ্গী ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪র্থ জুটিতে যোগ হয় ৫৫ রান। আফিফ  ২৮ বলে ৩০ আর শান্ত ২১ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়লেন।