বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা ঘটিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ভয় দেখাতে চায়। স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস ভুলে গেছেন। ভয় দেখিয়ে আন্দোলন দমানো যাবেনা। আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারকে নিপেক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে।
তিনি বলেন, আজকে লোডশেডিং, বিদুতের যে অব্যস্থাপনা, বিদ্যুৎখাত থেকে যে চুরি তা করেছে আওয়ামী সরকারের লোকজন। আজকে বিএনপি নেতাদের কারো জীবনের গ্যরান্টি নেই, কেউ নিরুদ্দেশ হতে পারে, কেউ গুম হতে পারে, কারো লাশ হয়তো পাওয়া যাবে কোন নদীর ধারে। এটা আওয়ামী লীগের বর্তমান শাসনের নমুনা, বৈশিষ্ট। চাপাবাজি, ভাওতাবাজি, মিথ্যা কথা বলে মানুষে দৃষ্টিকে অন্যদিকে ফেরানোর জন্যই তারা চেষ্টা করে। যখন দেখে ভাওতাবাজি, মিথ্যা কথায় লাভ হচ্ছে না তখন তারা ব্যবহার করে তাদের পেটুয়া বাহিনী। যুবলীগ, ছাত্রলীগ, পুলিশ, র্যাবকে লেলিয়ে দেয় বিএনপির মিছিলের উপর।
তিনি রবিবার বিকালে গাজীপুর শহরের রাজবাড়ি সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সারাদেশে বিদ্যুতের লোডশেডিং, জ¦ালানী খাতে অব্যবস্থাপনা ও দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
গাজীপুর জেলা বিএনপি সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহ্ রিয়াজুল হান্নান ও সাখাওয়াত হোসেন সবুজের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির খান, ডা: রফিকুল ইসলাম বাচচু, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা মেয়র মজিবুর রহমান, হুমায়ুন কবির মাস্টার, শাহজাহান ফকির, হেলাল উদ্দিন, এ্যাড. কাজী খান, আবু তাহের মুসুল্লী, আ ন ম ইব্রাহীম খলিল, ইজাদুর রহমান মিলন, আবু বক্কর সিদ্দিক, মোয়াজ্জেম হোসেন, পারভেজ আহমেদ, খালেকুজ্জামান বাবলু, জয়নাল আবেদীন রিজভী, আক্তারুল আলম মাস্টার, আতাউর রহমান মোল্লাহ, হাসিবুর রহমান মুন্না, জান্নাতুল ফেরদৌসী, আক্তারুল আলম মাস্টার ও ইয়াসিন মোল্লাহ।