সাকিব আল হাসান দুইটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পোনে ৬ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। অবশ্যই সেটা আইনগত নিয়ম মেনেই। সাকিব আল হাসান বাংলালিংক এবং যমুনা ব্যাংকের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন।

বাংলাদেশের  টেষ্ট দলের অধিনায়ক সাকিব এই দুই প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। তবে সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও এই দুই প্রতিষ্ঠান কোন অনুমতি না নিয়ে তাদের বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং প্রমোশনে সাকিবের ছবি ব্যবহার করছে।

এই অভিযোগ এনে সাকিব টেলিকম প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক ও যমুনা ব্যাংকের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। তাতে ৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। আজ রোববার (২৪ জুলাই) সাকিবের আইনজীবি ব্যারিস্টার আশরাফুল হাদী এ নোটিশ পাঠান। এ খবর মিডিয়াতে নিশ্চিত করেছেন সাকিবের বিজ্ঞাপন সংস্থার এজেন্ট নাফিস মোমিন।

নাফিস মোমিন মুঠোফোনে জানান, ‘হ্যাঁ, বাংলালিংক এবং যমুনা ব্যাংককে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তারা ইমেজ ব্যবহার করেছে। তাও আবার কোনো অনুমতি ছাড়া এবং চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও। ‘২০১৬ সালের এপ্রিলে বাংলালিংকের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়েছিল। দুই বছরের চুক্তি ছিল। সেটা ২০১৬ সালের এপ্রিলে শেষ হয়েছিল। এরপর কোনো টেলিকমের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে না বলে বিসিবি একটা আদেশ দিয়েছিল।’ টাকার অঙ্ক নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘মোট ৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।’

২০১৪ সালে স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরকে সঙ্গে নিয়ে বাংলালিংকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হন সাকিব। তাদের দুজনের একাধিক বিজ্ঞাপন টিভির পর্দায় দেখা যায়। বাংলালিংক ব্যবসায়িক মুনাফার উদ্দেশ্যে বিনা অনুমতিতে বেআইনিভাবে সাকিবের ছবি, ইমেজ ও বিজ্ঞাপন এখনো ব্যবহার করছে যমুনা ব্যাংকের সঙ্গে। সাকিবের বিজ্ঞাপনী সংস্থা যমুনা ব্যাংকের বুথে বাংলালিংকের বিজ্ঞাপন শনাক্ত করে। চুক্তি শেষ হওয়ার পর সাকিবের ছবি, ইমেজ বা বিজ্ঞাপন ব্যবহার করার অনুমতি নেই। সেই চুক্তি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।

৭দিনের মধ্যে এই ক্ষতিপূরণ পাওয়া না গেলে আইনি পদক্ষেপে যাবেন সাকিব। আইনভঙ্গের কারণে ফৌজদারি মামলা এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ের মোকদ্দমা করা যেতে পারে।