গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে পৃথক দু’টি সড়ক দূর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। রবিবার বিকেলে কোনাবাড়ি থানাধীন কড্ডা ব্রীজ এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটর সাইকেল আরোহী দুই তরুণ এবং বাসন থানাধীন নাওজোর এলাকায় পিকআপের ধাক্কায় এক নারী নিহত হন। পুলিশ ঘাতক ট্রাকটি আটক করেছে।

নিহতরা হলেন- গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার জাঙ্গালিয়াপাড়া এলাকার সমন আলীর ছেলে মাসুদ হোসেন (২০), একই এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে রুহুল হোসেন (২২) এবং মহানগরীর বাসন থানাধীন ইটাহাটা এলাকার সোলায়মান মিয়ার স্ত্রী হাজেরা বেগম (৫৫)।

জিএমপি’র কোনাবাড়ি থানার ওসি আবু সিদ্দিক ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার বিকেল ৫টার দিকে একটি মোটর সাইকেলে চড়ে মাসুদ ও রুহুল জয়দেবপুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ি থানাধীন কড্ডা ব্রীজ অতিক্রম করেন। এসময় পেছন থেকে বেপরোয়া গতিতে কালিয়াকৈরগামী একটি ট্রাক কোন প্রকার সিগন্যাল না দিয়ে কড্ডা ব্রিজের পশ্চিমপাড়ে বালুরগদির দিকে নামতে গিয়ে মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ওই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তারা। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে। এসময় ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা হয়, ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, নিহত মাসুদের পকেট থেকে তার নিজ নামের নাবায়নকৃত একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তারা ঘটনার সময় গাজীপুরের পাসপোর্ট অফিস থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে একইদিন দুপুর দুইটার দিকে বাসন ধানাধীন নাওজোর এলাকার রিয়াজ পেট্রোল পাম্পের সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন হাজেরা বেগম। এ সময় টাঙ্গাইলগামী একটি পিকআপ তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

উভয় ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।