চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রী হেনস্তার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। সুস্পষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ না করে ‘শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে’ জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে এই নোটিশ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

এ বিষয়ে জানতে সভাপতি রেজাউল হকের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি কল কেটে দেন। পরে আর তিনি কল করেননি।

চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘কি কারণে নোটিশ দেওয়া হয়েছে তা জানার চেষ্টা করছি।’

ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনি বলেন, ‘কেন কারণ দর্শানো হয়েছে, রেজাউল হক তা জানেন। তিনি ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ করেছেন। এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।’

গত রোববার রাত ১০টার দিকে বন্ধুর সঙ্গে ক্যাম্পাসে হাঁটছিলেন সংগীত বিভাগের এক ছাত্রী। এ সময় অজ্ঞাত পাঁচ ব্যক্তি তাদের বেধড়ক মারধর ও ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে। পরে তাদের দুটি মোবাইল ফোন, তিন হাজার টাকা ও তাদের ব্যাগ ছিনতাই করে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায় দুবৃত্তরা।

এ ঘটনার পরদিন প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।

ভোক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর এক বন্ধু বলেন, ঘটনাস্থলে রেজাউল হকের অনুসারী ছিলেন। এই ঘটনাকে ছাত্রলীগ নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।

প্রক্টর রবিউল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য ছাত্রীদের রাত ১০টার মধ্যেই হলে প্রবেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।