২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) চূড়ান্ত করেছে আইসিসি। আগামী পাঁচ বছরের সূচীর মধ্যে  বাংলাদেশ ৩৪ টেস্ট, ৫৯ ওয়ানডে ও ৫১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)  উল্লেখযোগ্য হারে ম্যাচ বাড়ার পেছনে বিশ্ব ক্রিকেটাঙ্গনে বাংলাদেশ ক্রিকেটের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করাই মুল উদ্দেশ্য। এটা কি বড় দল গুলোর ভাবনার  পরিবর্তন? জানতে চাওয়া হয় বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে। এ প্রশ্নে মঙ্গলবার বিসিবির সাধারণ সভা শেষে নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘অবশ্যই। আইসিসিতে বাংলাদেশ এখন একটা গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবেই গণ্য হয়। তবে এর পেছনে কিন্তু বোর্ড নয়, দলের পারফরম্যান্সই মূল। বাংলাদেশের ক্রিকেট যেহেতু এখন ভালো করছে, সেজন্যই সবাই আগ্রহ প্রকাশ করছে।’

২০২৩-২০২৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের থেকে কেবল বেশি ম্যাচ পাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সব সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশের ম্যাচ ১৪৪টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলবে ১৪৬টি। বলার অপেক্ষা রাখে না, সামনের দিনগুলোতে মাঠে কঠিন সময় কাটাতে হবে বাংলাদেশকে। অতীতে এফটিপিতে বাংলাদেশ কখনোই এতো ম্যাচ পায়নি।

সাদা পোশাকে ৩৪ ম্যাচ পেয়েছে বাংলাদেশ। যা আগের চক্রের থেকে ৪টি বেশি। এর ভেতরে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরও করবে। বাংলাদেশে খেলতে আসবে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান। পাঁচ বছরে বাংলাদেশের থেকে বেশি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড (৪২), অস্ট্রেলিয়া (৪১) ও ভারত (৩৮)। তবে ওয়ানডে বাংলাদেশই সবচেয়ে বেশি খেলবে। বাংলাদেশের ৫৯ ম্যাচের পর শ্রীলঙ্কা খেলবে ৫৮ ম্যাচ। এছাড়া বাকি সবগুলো দল ৫০ এর নিচে ম্যাচ খেলবে।

বর্তমান আইসিসির এফটিপিতে বাংলাদেশ ৩০টির মধ্যে ২৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। বাকি দুটি ম্যাচ খেলবে নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে। সামনের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রেও বাংলাদেশের ঘরের মাঠে বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলা রয়েছে। ভারত, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর বাদে নিউ জিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কাকে আতিথেয়তা দেবে।

দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ম্যাচ বাড়ার কারণ জানাতে গিয়ে নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘আগে সবাই আমাদের এখানে এসে খেলতে চাইতো। বাইরে আমাদেরকে নিতে চাইতো না। ওরা মনে করতো ওদের দেশের দর্শকরা খেলা দেখবে না। এখন সব ওদের দেশেই ডাকছে। তো এটা ভালো দিক। আমরাও শিখতে পারবো। এটা একটা শেখার ধাপ হতে চলেছে। কারণ আমরা তো কখনও এত খেলা খেলিনি বাইরে গিয়ে। তো আমার মনে হয় এটা আমাদের জন্য ভালো।’