নরসিংদী পলাশে প্রেমিকার সন্তান নষ্ট করতে গিয়ে ফেরদৌসি আক্তার লাবনী নামের এক কিশোরীর মৃত্যু ঘটে। ঘোড়াশাল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের গড়পাড়া মহল্লার আউয়ালের ছেলে ইউসুফের সাথে প্রেমের সম্পর্ক একপর্যায়ে জানতে পারেন, ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। সেটা জানার পড় জোর করে তাকে সন্তান নষ্ট করার জন্য একাদিক পিল খাওয়ান হয়। এরপর গত বুধবার রাতে মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরীর।

কিশোরী পরিবার বলছে, অভিযুক্ত ইউসুফ যখন জানতে পারেন যে, কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা।সন্তান নষ্ট জন্য চাপ দিতে থাকেন তাকে। কিশোরী রাজি না হলে তাকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মেয়েটিকে শিবপুর নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে গিয়ে সন্তান নষ্ট করার জন্য পিল খেতে দেন মেয়েটিকে। আতপর সেই কিশোরী ইউসুফের কথা অমান্য করতে পারেনি।

পিল খাওয়ার পর থেকে কিশোরীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। বাবা বাদল ও বড় চাচা জানান অভিযুক্ত যখন দেখেন মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে, ইউসুফ তার কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবের সহযোগিতায় শিবপুর কলেজ গেটের অবস্থিত একটি প্রাইভেট হাসপাতালে এম আর করানোর জন্য নিয়ে যান। কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ইউসুফ তাকে ফেলে পালিয়ে যান।

স্থানীয় লোকজন ইউসুফের নিকটতম বন্ধুবান্ধব অসুস্থ মেয়েটিকে দেখে তার বাড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে কিশোরীর বাবা,চাচা, জেঠা, মা পরিবারের লোকজন শিবপুর ছুটে যান সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতাল পরবর্তীতে ঢাকা একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালে ১৪ দিন চিকিৎসার পরে ডাক্তার কোনো উন্নতি না দেখে তাকে রিলিজ দিয়ে।

ঢাকা মেডিকেল রেফার্ড করেন আর বলে দেন এ রোগী বাঁচানো সম্ভব নয় তার নারীবুড়ী নষ্ট হয়ে গিয়েছে সে আর বাচবেনা। কিশোরীকে তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পরই কিশোরী মৃত্যুবরণ করেন। এই মৃত্যুর খবর এলাকা ছড়িয়ে পড়লে নানা কৌতহলের সৃষ্টি হয় কে এই মেয়ের সন্তানের বাবা কার সাথে তার বিয়ে হয়েছিল সন্তান কি বৈধ না অবৈধ ছিল।

নানা কথা শুনতে না পেরে কিশোরীর বাবা বাদল পলাশ থানায় দ্রুত ছুটে যান একই এলাকার আউয়াল মিয়ার ছেলে ইউসুফের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস সাহেব কিশোরীর বাবার কথা শুনে। কিশোরী বাবা বাদল হোসেনকে মাদকাসক্ত আখ্যায়িত করে থানা থেকে বের করে দেন। ওরে কিশোরীর বাবা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দিলে ঘটনস্থলে ওসি তদন্ত সফিক ছুটে আসেন।

নরসিংদী পলাশ