বিশ্ব যখন অশান্ত, অস্থির তখন নতুন এক ‘কোয়াড’ গড়ে উঠছে। ব্যবসা ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে সমৃদ্ধ করতে এই ‘কোয়াড’ গড়ে উঠছে ভারত, ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে নিয়ে। এ দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম বৈঠকে যৌথ অংশীদারিত্ব ঘোষণা করা হতে পারে আজ বৃহস্পতিবার। এতে ঘোষণা আসতে পরে নবায়ণযোগ্য জ্বালানির সংরক্ষণ এবং খাদ্য করিডোর স্থাপনের বিষয়ে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
এতে বলা হয়েছে এই জোটটি ‘আই২ইউ২’ হিসেবেই পরিচিত। আজ বৃহস্পতিবার ভারত ও ইসরাইল (আই২)-এর প্রধানমন্ত্রী যথাক্রমে নরেন্দ্র মোদি এবং যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউ২) প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে জো বাইডেন ও মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান একত্রে বৈঠক করবেন। জো বাইডেন এখন ইসরাইলে আছেন। তিনি ১৩ থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইসরাইলে রয়েছেন। তবে ‘আই২ইউ২’ বৈঠক ভাচ্যুয়ালি হবে না কিভাবে হবে সে বিষয়ে রিপোর্টে তথ্য দেয়া হয়নি। তবে বলা হয়েছে, বিশ্বের অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখন ঝুঁকিতে, উচ্চ হারে মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং করোনা মহামারি যখন বিশ্বকে তছনছ করে দিয়ে গেছে, তখন অনিশ্চিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে এমন একটি নতুন জোট গঠন হচ্ছে।
সৌদি আরব, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত ছিলেন তালমিজ আহমেদ। তিনি আল জাজিরাকে বলেছেন, পশ্চিম এশিয়া কোয়াডে (ওয়েস্ট এশিয়া কোয়াড) যোগ দেয়া হলো বিপুল পরিমাণ দেশের রক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্র গৃহীত কৌশলের অংশ। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব এখন টালমাটাল। কেউই জানেন না কোন কৌশল কাজ করবে। তাই দেশগুলো রক্ষা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম বাজি ধরছে। এর অংশ হিসেবে তারা বিভিন্ন গ্রুপ সৃষ্টি করছে এবং তাতে যোগ দিচ্ছে। তারা মনে করছে, এসব কৌশল তাদের জন্য উত্তম উপায় হবে।
ওই চারটি দেশের নেতাদের সামিট হওয়ার কথা আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য সফরের দ্বিতীয় দিনে। এই মিটিংয়ে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত সরকার এ বিষয়ে মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দিয়েছে। সে অনুযায়ী ‘আই২ইউ২’ এর উদ্দেশ্য হবে পারস্পরিকভাবে শনাক্ত ৬টি কেক্ষেত্রে যৌথ বিনিয়োগে উৎসাহিত মকরা। এর মধ্যে আছে পানি, জ্বালানি, পরিবহন, স্পেস, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা। এর উদ্দেশ্য হবে বেসরকারি খাতের পুঁজিকে সচল করা। অবকাঠামোকে আধুনিকায়ন করতে বিশেষজ্ঞ সহায়তা। কলকারখানার জন্য পরিবেশবান্ধব জ্বালানি তৈরি করা। জনস্বাস্থ্য উন্নত করা। গুরুত্বপূর্ণ ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উন্নয়নে অনুমোদন দেয়া। এ ছাড়া এই প্রকল্পে অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয় থাকবে।