কুষ্টিয়ার সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেল নিখোঁজের চার দিন পর নদী থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার হয়। এর সাত দিন পরও পুলিশ আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই ঘটনার কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি। এরপর এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়নি। ফলে সাংবাদিক রুবেল হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন সাংবাদিকরা। একই দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার তারা কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন। এর আগে গতকাল বুধবার কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৩ জুলাই রাতে আমাদের নতুন সময় পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার সম্পাদক হাসিবুর রহমান রুবেল শহরের সিঙগার মোড়ে নিজ অফিসে কর্মরত ছিলেন। রাত ৯টার দিকে তার মোবাইলে একটি কল আসলে তিনি কলটি রিসিভ করেন এবং ‘এখোনি ফিরে আসছি’ বলে অফিস থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং তিনি নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন রুবেলের ছোট ভাই কুষ্টিয়া সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। নিখোঁজের চার দিন পর ৭ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর উপজেলার গড়াই নদীর যদুবয়রা ব্রিজের নিচ থেকে পুলিশ রুবেলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। রুবেল কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। তার স্ত্রী ও এক শিশু সন্তান রয়েছে।