শ্রীলংকার নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের জেরে সৃষ্ট গণআন্দোলনে দেশটির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ না করেই বিদেশে পালিয়েছেন।
প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এখনও বিক্ষোভকারীদের দখলে।
অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় জর্জরিত দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রটির বর্তমান এই দুরাবস্থার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
মূলত শ্রীলংকার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে অশান্তি সৃষ্টির জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন তিনি।
ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে সেখান থেকে খাদ্যপণ্য সরবরাহ বন্ধের কারণে শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে অশান্তি সৃষ্টির জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। খবর ইউক্রেনফরমের।
জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনে আক্রমণে রাশিয়া যে প্রধান কৌশলগুলো ব্যবহার করেছে তার মধ্যে একটি হলো দেশটিতে ‘অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা’ সৃষ্টি করা।
তার অভিযোগ, ইউক্রেন থেকে সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় ব্যাঘাতের কারণে বেশ কয়েকটি দেশ খাদ্য ও জ্বালানির ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে এবং এতে করে রাশিয়ার এজেন্ডাই উপকৃত হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে এশিয়ান লিডারশিপ কনফারেন্সে বক্তৃতার সময় শ্রীলংকার সংকট তুলে ধরে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির ফলে একটি সামাজিক বিস্ফোরণ ঘটবে। এটা কীভাবে শেষ হবে তা এখন কেউ জানে না।’
ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে বিশ্বের ৯৪টি দেশের আনুমানিক ১৬০ কোটি মানুষ অর্থ, খাদ্য বা জ্বালানি সংকটের মতো অন্তত একটি সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। আর সরাসারি প্রভাব পড়েছে এমন দেশগুলোর প্রায় ১২০ কোটি মানুষ মারাত্মকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর এবারই সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে শ্রীলংকার।
করোনা মহামারি, জাতীয় অর্থনীতি পরিচালনায় সরকারের অদক্ষতা, বিশ্বজুড়ে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ তলানিতে নেমে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কায় বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।