শ্রীলঙ্কাই একমাত্র দেশ নয় যেখানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে পরিবারগুলো হিমশিম খাচ্ছে। অনেক দেশেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে। যার ফলে ওইসব দেশগুলোতে প্রতিবাদ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বিখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস এ নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছেঃ

দুর্নীতি এবং দ্রব্যমূল্যের ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার আলবেনিয়ান গত সপ্তাহে রাজধানী তিরানায় মিছিল করে। আলবেনিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদ হার ১.২৫% বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। ওই সময় (জুন মাসে) আনুষ্ঠানিকভাবে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬.৭%।

জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত সপ্তাহে আর্জেন্টিনার হাজার হাজার নাগরিক রাজধানী বুয়েনস এইরেসে মিছিল করেছে। মে মাসে সুদ হার ৫২% এবং মুদ্রাস্ফীতি ৬০.৭% ছিল। বিক্ষোভকারীরা নাগরিকদের জন্য কঠিন শর্তে দেওয়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর ঋণ নিতে প্রত্যাখ্যান করে সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানায়।

পহেলা জুলাই পানামায় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা সরকারের নিকট উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয় মোকাবিলা করার দাবি জানায়।
তারা বেশি বেতন, কম দ্রব্যমূল্য এবং সাপ্লাই চেইনের প্রতিবন্ধকতা দূর করার দাবি জানাচ্ছে।
কেনিয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম আকাশচুম্বী হয়ে পড়েছে। শনিবার হাজারো বিক্ষোভকারী রাজধানী নাইরোবিতে মিছিল করে সরকারকে খাদ্যের দাম কমানোর আহ্বান জানিয়েছে। রাষ্ট্র কর্তৃক অত্যধিক ঋণ গ্রহণ এবং ব্যাপক দুর্নীতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে বলে বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন। কেনিয়ায় সরকারিভাবে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭.৯১% এবং সুদ হার ৭.৫০%।

জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়ের প্রতিবাদে ঘানার নাগরিকরা জুন মাসে রাস্তায় নেমে আসে। মুদ্রাস্ফীতি ২৭.৬% এ পৌঁছানোর পরে এবং সুদ হার ১৯% এ উন্নীত করার পরও যখন কোন লাভ হচ্ছিল না, তখন সরকার আইএমএফ এর সাথে ‘বেইলআউট’ নিয়ে আলোচনা করতে সক্ষম হয়। অত্যধিক ঋণের কারণে ঘানার অর্থনীতি বির্পযস্ত।