টেষ্ট আর টি২০ দুই ফরমেটেই বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে হেরেছে। টেষ্ট আর টি-২০ সিরিজে চলাকালে বাংলাদেশ দলের এমন করুণ পরিণতির কারণ তেমন ভাবে সামনে আসেনি। কিন্তু ওয়েষ্ট ইন্ডিজ সিরিজে ওডিআই ম্যাচ শুরুর পর থেকেই আলোচনায় উঠে এসেছে কেন বাংলাদেশ ওয়েষ্ট ইন্ডিজের মাটিতে সোয়া তিন দিন
আর চার দিনে টেষ্ট হারের কারণ। টেষ্টের পর দলের ক্রিকেটারদের টি-২০ সিরিজের ক্লান্ত দেখা গেছে। কি কারণ হতে পারে?

ওয়েষ্ট ইন্ডিজের মাটিতে টিভি রিপোর্টে বাংলাদেশের একটি টিভি চ্যানেল সরাসরি বিষযটি সামনে নিয়ে আসে। টিভি রিপোর্টে বলা হয়, বিসিবি অর্থ বাঁচানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মিডিয়া ম্যানেজার, দলের মালিশকারী, ফিজিও-র সাহায্য-কারী কাউকেই ওয়েষ্ট ইন্ডিজে পাঠানো হয়নি।

দলের সঙ্গে শেষ সময়ে যোগ দিতে বিমানে চড়েও দুবাই বিমান বন্দর থেকে অসুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন বিসিবি পরিচালক ও দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। পরে বিসিবি সুজনের বদলীও কাউকে পাঠায়নি। এমনকি বিসিবির কোন পরিচালকও সফরে দলের সঙ্গে যায়নি। আর নির্বাচকের কথা তো বলার দরকার পড়ে না।

বোর্ড চালাতে পরিচালক লাগে, আর দল চালাতে টিম ম্যানেজম্যান্ট লাগে। ওয়েষ্ট ইন্ডিজ সফরে ছিল না কোন টিম ম্যানেজম্যান্ট । সহজ ভাষায় দলের সঙ্গে টিম ম্যানেজম্যান্ট আর ক্রিকেটারদের সুস্থ রাখার মতো কেউ ছিল না। ঐ টিভি রিপোর্টে আরো বলা হয়, পুরো দল সফরে ছিল অসহায়। টেষ্ট সিরিজে শেষ করে এক দ্বীপ থেকে আরেক দ্বীপে গিয়ে ক্রিকেটারা ক্লান্তির সঙ্গে সঙ্গে শারিরীক সমস্যা গুলো সমাধানের পথ খুঁজে পাযনি। ক্রিকেটারদের দেখার কেই ছিল না। বিষয়টি নিয়ে ক্রিকেটাররা কেউ মুখ না খুঁলেও মিডিয়ার চোঁখ এড়ায়নি।

ক্লান্ত আর আহত ক্রিকেটারদের চেহারার ছবি টিভি রিপোর্টের সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়েছে। তারপরই প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এবার টাকা বাচাঁতে বিসিবি সংখ্যা কমিয়েছে, অথচ আজ যদি বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন ওয়েষ্ট ইন্ডিজ সফরে যেতেন তাহলে তো তাঁর সফরে সঙ্গীর অভাব হতো না!