টেষ্ট আর টি-২০ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হারের জ¦ালা নিয়েই তামিমরা ওডিআই সিরিজে খেলতে নামে। যদিও গায়নায় মাঠে নামার আগে আতœবিশ^াসের পারদটা নীচু-ই ছিল। মানসিক ভাবে ১০০ ভাগ পেছনে থেকেই বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম ওডিআই খেলতে নামে। আর ১০০ ভাগ সামনে থেকেই স্বাগতিক ওয়েষ্ট ইন্ডিজ মাঠে নামে। তবে বাংলাদেশ নিজেদের চিরচো রুপে নিজেদের উপস্থিত করে এবং ৬ উইকেটে উড়িয়ে দেয় স্বাগতিকদের।

যেভাবে ওয়েষ্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে বাংলাদেশ তাতে করে অবশ্যই বলা যায় মানসিক শক্তি খানিকটা না অনেকটাই ফিরে পেয়েছে তামিমের দল। এই নতুন ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই কাল সিরিজে জেতার মিশনে নামবে বাংলাদেশ। ওয়েষ্ট ইন্ডিজের মাটিতে সিরিজ জেতা নতুন কোন ঘটনা নয়। ২০০৯ সালে সাকিব আল হাসানের অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে ওডিআই সিরিজে স্বাগতিকদের তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। এরপর ২০১৮ সালে হোয়াইটওয়াশ না করতে পারলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজে জিতে দেশে ফিরে আসে বাংলাদেশ।

প্রায় ৪ বছর পর আবারো সিরিজ জেতার মিশন তৃতীয় বারের মতো। বাংলাদেশ ওডিআই ফরমেটে কতটা যোগ্যতা রাখে সেটা বলা কিছু নেই। যেকোনদলকে যেকোন ভেন্যুতে ওডিআই ম্যাচে বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষমতা রাখে। তাছাড়া আইসিসির ওডিআই র‌্যাঙ্কিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে টাইগারদের পার্থক্য
স্পষ্ট। বাংলাদেশ যেখানে ৭ নম্বর দল সেখানে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ আছে ৯ নম্বরে।

যদি সিরিজ জেতাই না ২০০৯ সালের মতো হোয়াইটওয়াশ করা সম্ভব হয় তাহলে টেষ্ট আর টি-২০ সিরিজে হারের জ¦ালা কিছুটা হলেও মিটবে।
আর সঙ্গে আইসিসিতে ওডিআই র‌্যাঙ্কিংয়ে ৬ নম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পার্থক্যটা কমে আসবে।