সাকিব আল হাসান নিয়ে আলোচনা আর সমালোচনার তো শেষ নেই। এতো দিন বিসিবি সব নাজমুুল হাসান পাপন বলে এসেছেন, সাকিব যে আসলে কখন খেলবে আর কখন খেলবে না এটা আমরা আগাম বলতে পারি না।’

প্রায়ই সাকিবের দলের নাম না থাকা নিয়ে ক্লান্তির প্রশ্নটা সামনে টেনে আনা হয়। এছাড়া সব ক্রিকেটার সব ফরর্মেটে খেলতে পারবেন না, এমন কথা তো হর-হামেশাই বিসিবি থেকে বলা হয়। সেই বিখ্যাত ‌ক্লান্তি নামক শব্দটিকে সামনে এনে এবার ওয়েষ্ট ইন্ডিজ সফরে ওডিআই সিরিজে সাকিব আল হাসানের নাম বাদ রাখা হয়। অবশ্যই সাকিব চাননি, তাই সাকিব ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবং আসন্ন জিম্বাবুয়ে সফরেও তাঁর নাম নেই। যদি সাকিব ক্লান্তই হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি সিপিএল খেলবেন কি করে? আসলে দল আগে না অন্য কিছু . .

বাংলাদেশ দলের যখন খুব বেশি প্রয়োজন তাঁকে তখন দেশসেরা অলরাউন্ডার ব্যস্ত থাকবেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল)। এ মাসে ৩১ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলবেন সাকিব। ইতোমধ্যে তাকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভির আহমেদ টিটুর কাছে। তিনি মুঠোফোনে দৈনিক বার্তাকে বলেন, ‌এটা আসলে নতুন করে বলার কিছু নেই। সব ক্রিকেটোর সব ফরমেট খেলবে না। এছাড়া ক্লান্তিরও একটা বিষয় আছে। ক্রিকেট অপারেশন্স আগেই তাকে অনুমতিপত্র দিয়েছে। এটা নিয়ে আমি আলাদ ভাবে কিছু বলতে চাই না’

এর আগেও দুইটি দলের হয়ে সিপিএলে খেলেছেন সাকিব। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে জ্যামাইকা তালওয়াসের হয়ে খেলেন তিনি। প্রথমবার জেতেন শিরোপাও। এরপর ২০১৮ সালে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে খেলেন সাকিব। ২০১৯ সালে দলটির হয়ে সিপিএলের শিরোপা জেতেন তিনি।

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট দাপিয়ে বেড়ানো সাকিব অবশ্য গত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দল পাননি। দুই কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যে নিলামে উঠলেও তাকে নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি কোনো দল।