ভারতে বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মহানবী সা:-কে নিয়ে করা কটূক্তির জের এখনো কাটেনি। এরই মধ্যে আরো এক বিজেপি নেতার বিতর্কিত এক টুইট প্রকাশ্যে এসেছে। ফলে তাকে গ্রেফতার করার দাবি ওঠে। যার জেরে ওই নেতাকে সাসপেন্ড করেছে হরিয়ানা বিজেপি।

হরিয়ানা বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অরুণ যাদব একাধিক টুইট করেছেন যাতে ইসলাম ধর্মকে টার্গেট করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি টুইটে তাকে কাবা শরিফের সাথে মদের গ্লাসের তুলনা করতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার দেখা যায় হঠাৎই তার পুরনো সেই টুইটের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে নেটদুনিয়ায় তাকে গ্রেফতারের দাবি উঠতে থাকে #ArrestArunYadav হ্যাশট্যাগটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করতে থাকে।

সামাজিক মাধ্যমের সেই জনরোষে পড়ে রাতেই অরুণ যাদবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একপ্রকার বাধ্য হয় বিজেপি। হরিয়ানা বিজেপির সভাপতি ওপি ধনকড় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। সরকারিভাবে অবশ্য তাকে বহিষ্কারের কোনো কারণ জানানো হয়নি। তবে অরুণকে যে টুইট বিতর্কের জন্যই পদ খোয়াতে হয়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আসলে নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দালের বক্তব্যে এমনিতেই বিজেপির ভাবমূর্তিকে ভালমতো ধাক্কা দিয়েছে। তার উপর যদি অরুণের এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসে তাহলে দলের ভাবমূর্তিতে আরো বড় রকমের ধাক্কা লাগতে পারে। সেই আশঙ্কাতেই দলের এই আইটি সেলের কর্মীকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের একটি টুইটের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে অল্ট নিউজের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক মোহাম্মদ জুবায়েরকে। দিল্লি পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী, জুবায়ের যে টুইটটি তা ‘অত্যন্ত উস্কানিমূলক এবং মানুষের মধ্যে ঘৃণার অনুভূতি জাগানোর জন্য যথেষ্ট’ ছিল। এর মাঝেই বিজেপি নেতার এই টুইট সামনে আসতেই তাকে গ্রেফতারের দাবিও জানানো হয়েছে বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে।

পাল্টা টুইটে হরিয়ানা পুলিশকে ট্যাগ করে লেখা হয়েছে ২০১৮ সালের টুইট বিতর্কে যদি জুবায়েরকে গ্রেফতার করা হয় তাহলে কেন যাদবকে গ্রেফতার করা হবে না? যাদব, ২০১৫ সালের অগাস্টে সালে টুইটারে যোগদেন। প্রায় ছয় লাখ ফলোয়ার রয়েছে তার৷ ২৮ হাজারের বেশি টুইটে দলের যাবতীয় বিষয় তিনি সাধারণের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস