বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “এখানে একজন বলেছেন ‘আমরা আন্দোলন করলেও সরকার যাবে, না করলেও যাবে’- যদি সেইভাবে যায় তাহলে জাতি আরেকটা অন্ধকারে প্রবেশ করবে। আর যদি রাস্তায় নেমে আমরা এদের বাধ্য করতে পারি। তাহলে জনতার কাছে ক্ষমতা আসবে।”

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ২০১১ সালের ৬ জুলাই সংসদ ভবনের সামনে তৎকালীন বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুকসহ বিএনপির জনপ্রতিনিধিদের উপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এটা সকলের দাবি, এদেশের মানুষ অতিদ্রুত পরিবর্তন চায়। তারা আর এই সরকারকে দেখতে চায় না। কোনো স্বৈরাচারী সরকার কখনো নিজের থেকে সরে যায় না। জনগণ চায় পরিবর্তন। জনগণ চায় এই সরকার অতি দ্রুত তার পদ থেকে পদত্যাগ করুক বা আমরা তাদের সরিয়ে দেই। সেটা করতে হলে আমাদের সবাইকে অবশ্যই রাস্তায় নামতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে আমাদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হবে। মান্না সাহেব ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ যেমন বীরের দেশ, বাংলাদেশে অনেক মীরজাফরও আছে। অতএব আজকে বীরেরা সামনে এগিয়ে আসুক। মীরজাফররা যেন সামনে আসতে না পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এদেশে গণতন্ত্র পূর্ণ উদ্ধার করতে চাই। আমরা এদেশে অতিদ্রুত সরকারকে হটাতে চাই। এদেশের জনগণ একটা নিরেপক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। যে নির্বাচনে মানুষ নিজের হাতে নিজের ভোট দিতে পারবে। ইভিএম মিশিনে নয়। আর এর মাধ্যমে জনগণের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করবে।

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ বন্যায় ভাসছে। কেন হচ্ছে! আমাদের উপরের দেশ গুলোতে যে নদী আছে সেই প্রত্যেকটা নদীর মুখে বাধ আছে। আজকে যে সরকার তারা তাদের নতজানু নীতির কারণে এর প্রতিবাদ করতে পারে না। খরা মৌসুমে তারা পানি আটকে রাখে, বর্ষার মৌসুমে পানি ছেড়ে দেয়। এই নতজানু নীতি না থাকলে ভারতের সঙ্গে কথা বলে এর সমাধান করতে পারতো।’

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয়তাবাদী নবীন দলের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল রানা প্রমুখ।