কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ফয়সাল উদ্দিনকে মাত্র ১০ মিনিটেই হত্যা নিশ্চিত করে খুনিরা। আগে থেকে প্রস্তুতির কারণে পাঁচ থেকে দশ মিনিটে হত্যাকাণ্ড শেষ করা গেছে বলে জানিয়েছে হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত আজিজুল হক সিকদার (৩৪) ও ফিরোজ আলম (৩৩)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সাল হত্যার সঙ্গে তারা জড়িত থাকার কথা স্বীকারের পাশাপাশি হত্যার ঘটনার বর্ণনাও দিয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম।

বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে গ্রেফতারকৃতদের রাজনীতি সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মেজর মনজুর মেহেদী জানান, গত ৩ জুলাই খুরুশকুলে আওয়ামী লীগের সম্মেলন থেকে বাড়ি ফেরার পথে ফয়সাল উদ্দিনকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতারে র‍্যাব চিরুনি অভিযান শুরু করে। অভিযানে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

তিনি জানান, গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে এজাহারের প্রধান অভিযুক্ত আজিজুল হককে লিংকরোড তার নিকটাত্মীয়ের বাসা পরে মো. ফিরোজ আলমকে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান র‍্যাব-১৫ এর মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম।

এদিকে কক্সবাজারের খুরুশকুলে ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল উদ্দীনকে (২৫) পুলিশের সামনে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ১৭ জনকে এজাহারনামীয় এবং আরও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কক্সবাজার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে নিহত ছাত্রলীগ নেতার বড় ভাই নাছিরউদ্দীন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার সদর মডেল থানা ওসি (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন।

মামলার এজাহার জমা দেওয়ার পর থানায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মামলার বাদী নাছির উদ্দীন। তিনি জানান, ১৭ জনের নামোল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে নাছির উদ্দীন বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তার (এসআই আবু রায়হান) বিরুদ্ধে তদন্ত করছে তারা। দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যে ৭টার দিকে খুরুশকুল ইউনিয়নের ডেইলপাড়া এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন থেকে ফেরার পথে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল উদ্দিনকে। অভিযোগ উঠে পুলিশের সামনেই কুপিয়ে হত্যা করা হয় ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল উদ্দীনকে।

নিহত ফয়সাল উদ্দীন (২৫) কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও ওই এলাকারই মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে। এই ঘটনার দুইদিন পর থানায় মামলা রেকর্ড হলো।