মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সাক্ষাতের পর পছন্দ না হওয়ায় প্রত্যাখ্যানে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রেমিকাকে চাকুর আঘাতে খুন করেছে কথিত প্রেমিক। আহত করেছে প্রেমিকার পিতাকেও। এ ঘটনায় কথিত প্রেমিক আরিফুলকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।

সোমবার (৪ জুলাই) ভোরে শেরপুরের নকলা উপজেলার কায়দা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সোহাগী আক্তার কায়দা গ্রামের শহিদুল ইসলামের কন্যা এবং হাজী জাল মামুদ কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আটক আরিফুল নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার পূর্ব সিয়ারচর লালখা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গেল রমজানে মোবাইল ফোনে ফতুল্লার আরিফুল ইসলামের সাথে নকলার সোহাগী আক্তারের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মাঝে উভয়ের সাক্ষাত হলে আরিফুলকে পছন্দ না হওয়ায় সোহাগী প্রেম প্রত্যাখ্যান করে। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে সোমবার ভোর রাতে আরিফুল ফতুল্লা থেকে নকলায় এসে সোহাগীদের রান্নাঘরে আশ্রয় নেয়। ভোর পাঁচটার দিকে সোহাগীর পিতা শহিদুল ইসলাম ঘরের দরজা খুলে বাইরে বেরুলে আরিফুল অতর্কিতে চাকু দিয়ে এলোপাতারী আঘাত করতে থাকে। এতে শহিদুল চিৎকার শুরু করলে সোহাগী এসে বাঁধা দেয়। এমতাবস্থায় সোহাগীকেও এলোপাতারী আঘাত করে আরিফুল। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় সোহাগী। পরে বাড়ির লোকেরা দ্রুত উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহাগীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত তার পিতা শহিদুল আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে বাড়ির লোকেদের চিৎকারে তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা অভিযুক্ত ও কথিত প্রেমিক আরিফুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

 

আল আমিন,শেরপুর জেলা প্রতিনিধি