২-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে সম্মানের বিষয় ইনিংস ব্যবধানে হারেনি। বাংলাদেশের ১ম ইনিংসে গড়া ২৩৪ রানের জবাবে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০৮ রানে অলআউট হয়। ১৭৪ রানে লিড নিয়ে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে পাঠায়। তৃতীয় দিনে শেষ বিকেল অবদি বাংলাদেশ ৬ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৩২ রান। গতকালই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল অতিথি দল হারতে চলেছে। তবে সেটা কি ইনিংস ব্যবধানে! ৪২ রান পেছনে থাকা বাংলাদেশ আজ দ্বিতীয় টেষ্টে ১০ উইকেটে হেরে যায়। সোহানের অপরাজিত ফিফটিতে ভর দিয়ে অতিথি বাংলাদেশ ইনিংস হারে লজ্জা থেকে রেহাই পেয়েছে।
তৃতীয় দিনের রাতে (ওয়েস্ট ইন্ডিজে) পুরো রাত বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। যে কারণে ৪র্থ দিনের তৃতীয় সেশনে শেষ দিকে গিয়ে খেলা মাঠে গড়ায়। পুরো দিন গ্রাউন্ডসম্যানরা চেষ্টা চালায় মাঠ খেলার উপযোগি করতে।
অবশেষে বাংলাদেশ সময়ে মঙ্গলবার মধ্য রাত ১টায় খেলা শুরু হয়। আগের দিন ১৬ রানে থাকা সোহান ৬০ রান যোগ করলেও সঙ্গী পেলেন না কাউকেই। মিরাজে ভরসা ছিল, কিন্তু হতাশা ছড়িয়ে মিরাজ ৪ রানে আউট হলে পরের দিকে তিন পেসারেরে কেউ ১ রানও স্কোর বোর্ডে জমা করতে পারেনি। ১৮৬ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট বাংলাদেশ। সোহানের অপরাজিত ৬০ রানই ছিল বলার মতো ব্যক্তিগত ইনিংস।
১২ রানের টাগেট দিতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। স্বাগতিক দলের দুই ওপেনার ব্র্যাথওয়েথ আর ক্যাম্পবেল ১২ রান জমা করলে সিরিজ জয়ের আনন্দে ভেসে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।