দেশের কৃষি গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় দেশ বরেণ্য উদ্যানত্ত্ববিদ ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)’র উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ফল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. বাবুল চন্দ্র সরকার-কে এ বছর ‘শ্রেষ্ঠ কৃষি বিজ্ঞানী’ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় এর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২১-২২ এর কর্মসম্পাদন সূচক [৫.১.১] এর আওতায় তাকে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক শ্রেষ্ঠ কৃষি বিজ্ঞানী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। বুধবার বারি’র প্রটোকল অফিসার মো. আল-আমিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সচিবালয়ের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ড. বাবুল চন্দ্র সরকারের হাতে ‘শ্রেষ্ঠ কৃষি বিজ্ঞানী’ পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. আবদুর রৌফ সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে এক সন্তানের জনক এ বিজ্ঞানী ১৯৬৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর উপজেলার গুজির কোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ড. বাবুল চন্দ্র সরকার ১৯৯২ সালে বারি’র সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্র, জৈন্তাপুর, সিলেট এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তিনি নিয়মিতভাবে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন।
ড. বাবুল চন্দ্র সরকার ২০১০ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্যানতত্ত্ব বিষয়ে সফলতার সঙ্গে পি.এইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ২০১৫-২০১৬ সালে ঋঁষনৎরমযঃ ঠরংরঃরহম ঝপযড়ষধৎ হিসেবে টহরাবৎংরঃু ড়ভ কবহঃঁপশু, টঝঅ থেকে গড়ষবপঁষধৎ ঝঃঁফরবং ধহফ ঞরংংঁব ঈঁষঃঁৎব এর উপর পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া শিক্ষা জীবনে মাধ্যমিক থকে ¯œাতোকোত্তর পর্যন্ত সকল পর্যায়ে তিনি প্রথম বিভাগ/শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। দেশি বিদেশি বিভিন্ন সায়েন্টিফিক জার্নালে তাঁর ৩২টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি দৈনিক ও মাসিক পত্রিকায় নিয়মিতভাবে বিজ্ঞান গবেষণা বিষয়ক বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশ করে থাকেন।
ড. বাবুল চন্দ্র সরকার ২০০১ সালে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) এ ফাউন্ডেশন ট্রেনিং এ নার্সভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং ইঅজঈ ঈযধরৎসধহ’ং অধিৎফ প্রাপ্ত হন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং সিম্পোজিয়ামে যোগদানের উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করেন। তিনি দেশে ফল ফসলের গবেষণা ও সম্প্রসারণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন।