লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানার ক্লুলেস বিকাশ এজেন্ট হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও হত্যার সাথে জড়িত মুল পরিকল্পনাকারী আসামী শান্ত মিয়া (২৫) কে প্রায় দেড় মাস পর গাজীপুর জেলা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুমে প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

গ্রেফতার শান্ত মিয়া নেত্রকোনা জেলার পূর্বদলা উপজেলার জৈষ্ঠবর এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে। গ্রেফতারকৃত অপর পাঁজন হলো কালীগঞ্জ উপজেলার বত্রিশ হাজারী এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে আশরাফুল আলম ওরফে আফতাবুল (৩০), একই এলাকার শামসুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম মুন্সি (৩১), সমের আলীর ছেলে ওমর ফারুক (২৬), মদনপুর চলবলার এলাকার সরাফত আলীর ছেলে রসুল মিয়া (৩২) ও বান্দের কুড়া এলাকার মাসুম আলীর ছেলে মানিক মিয়া (২৭)।

পুলিশ সুপার আবিদা সুলতান পিপিএম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত এপ্রিল মাসের ২১ তারিখ রাত অনুমান ১টার দিকে উপজেলার চাপারহাট বাজারের বিকাশ এজেন্ট আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে আইয়ুব বাজার থেকে দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে চন্দ্রপুর ইউনিয়নের বত্রিশ হাজারী এলাকায় কে বা কাহারা রাম দা দিয়ে কুপিয়ে নিরমম ভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় আইয়ুবের বড়ভাই কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এটিএম গোলাম রসুল থানার মামলা নং-৪৪, তারিখ ২১-০৪-২০২২ইং, ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করে তদন্তভার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গুলফামুল ইসলাম মন্ডলের উপর তদনভার অর্পন করেন।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল তদন্তভার গ্রহন করার পর পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও গোপনে তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাকা একটি রাম দা ও আসামীর ফেলে যাওয়া এক জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করেন।

পুলিশ সুপার বলেন, যেহেতু মামলাটি একটি ক্লুলেস হত্যা মামলা তাই অত্যান্ত নিষ্ঠা ও কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করে তার দিকনির্দেশনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলফামুল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় মামলা রুজুর ২০ দিনের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম ও অভিযান পরিচালনা করে মামলার মূল আসামী আশরাফুল আলম ওরফে আফতাবুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে আফতাবুলের স্বীকারোক্তিতে হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী মোঃ শান্ত মিয়াকে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার সালনা বাজারে সোমবার (১৩ জুন) আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে অভিযান চালিয়ে মোঃ শান্ত মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মারুফা জামাল, লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহা আলম, কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এটিএম গোলাম রসুল ও জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।