গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন-ক্যাম্পাস পিজিডি ইন লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স কোর্সের ৬ষ্ঠ ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম এবং ৫ম ব্যাচের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে সিনেট হলে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বক্তব্য।

¯œাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন ও লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স বিভাগের কোর্স সমন্বয়কারী প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ¯œাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, আমাদের সকলের লক্ষ্য একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ সৃষ্টি। সেই জ্ঞানভিত্তিক সমাজ সৃষ্টিতে লাইব্রেরি সায়েন্সের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জীবনের জন্য গোটা বিশ্বই এক গ্রন্থাগার। জীবনজুড়ে নতুন কোনো কিছু অনুন্ধানের জন্য লাইব্রেরিতে যেতে হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে লাইব্রেরির আবশ্যকতা রয়েছে। জ্ঞান অন্বেষণের যে সোর্সগুলো রয়েছে তার প্রধানতম অনুষঙ্গ হচ্ছে লাইব্রেরি। চলার প্রতিটি বাঁকে বাঁকে লাইব্রেরির যে সংযোগ সেটি নিশ্চিত করাই আধুনিক গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞানর লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, কোভিড উত্তর পৃথিবী আরও চ্যালেঞ্জিং হবে। কিন্তু সেটি হবে আরও আধুনিক ও বিজ্ঞান মনস্ক। সেই জায়গা যদি আমরা পিছিয়ে থাকি তাহলে মনে রাখতে হবে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যে বড় আহ্বান আমাদের সামনে আছে, সেটি যদি আমরা ধরতে না পারি তাহলে অনগ্রসর হয়ে থাকতে হবে, যেটি আমাদের লক্ষ্য নয়। আমি মনে করি আমাদের ৩৫ লক্ষ শিক্ষার্থীর হাতে একটি পাসওয়ার্ড থাকা উচিত। যেই পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ই-জার্নালে, ই-বুকে অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। সেটি যদি আমরা না করতে পারি তাহলে আমরা একটি সনাতনী ব্যবস্থার লাইব্রেরির মধ্যে থাকবো, তা দিয়ে সমাজ পবির্তনের জায়গায় পৌঁছানো দুঃসাধ্য।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরুজ্জামান, জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমান, পরিবহন দপ্তরের পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক মো. সাজেদুল হক, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা দপ্তরের পরিচালক মু. আখতারুজ্জামান, প্রকাশনা ও বিপণন দপ্তরের পরিচালক আ. মালেক সরকার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক সুমন চক্রবর্তীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারিসহ প্রায় ৩০০ শতাধিক শিক্ষার্থী।