বাংলাদেশ বিশ্ব ফুটবলের আশ-পাশেও নেই। কিন্তু বিশ্বকাপ ফুটবল এলেই পুরো বাংলাদেশ জুড়ে শুরু হয়ে যায় ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার ভক্তদের কথার লড়াই। কতটা উত্তেজিত থাকে বাংলাদেশ বিশ্বকপ ফুটবলের সময় সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সে বিষয়টি মাথায় রেখেই ফিফা প্রতি বার বিশ্বকাপের আগে ট্রফিটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে আসছে। এর আগে ২০১৩ সালে বাংলাদেশে ট্রফি এসেছিল। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ উপলক্ষে সেবার ট্রফি আসে। কাল ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষে আবারও আসছে ট্রফিটি।
গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি কাল বুধবার ৮ জুন সকালে বাংলাদেশে আসার কথা চূড়ান্ত। বিশ্বকাপের ট্রফির আগমন বলে কথা, তাই ঢাকায় জাঁকজমকপূর্ণ নানা আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
যার মধ্যে থাকছে ফিফার কমার্শিয়াল পার্টনার কোকাকোলার আয়োজনে একটি কনসার্টও। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ ট্রফির বাংলাদেশে আসা উপলক্ষে নানা আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ট্রফি আসা প্রসঙ্গে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, বুধবার সকাল ১১টার দিকে চার্টার্ড ফ্লাইটযোগে বিশ্বকাপের ট্রফি ঢাকায় আসবে। সঙ্গে থাকছেন ফিফার ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তাদের মধ্যে আছেন ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জেতা লিজেন্ডারি মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান কারেম্বু। বিমানবন্দরে ট্রফি বরণ করে নেবেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ অন্য কর্মকর্তারা। প্রথম দিন ট্রফি নিয়ে বাফুফের তিনটি প্রোগ্রাম রয়েছে।’
এছাড়া বিশ্বকাপ ট্রফিটি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাসভবনে কাল বিকাল ৪টায় ট্রফি নিয়ে যাওয়ার সূচী আছে বলে বাফুফে জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতির বাসভবনে কার্যক্রম শেষে ট্রফি নেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে। এরপর রাতে ট্রফি আগমন উপলক্ষে একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছে বাফুফে।
৯ মে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ট্রফির সঙ্গে হোটেল রেডিসনে ছবি তোলার সুযোগ রয়েছে ফুটবল সংশ্লিষ্টদের। এ সময় ফুটবলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, মিডিয়াকর্মীরা এই ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পাবেন। এরপর বিকালে ট্রফি যাবে বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে। সেখানে ট্রফি প্রদর্শিত হবে এবং একটি কনসার্টও অনুষ্ঠিত হবে।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বিশ্বকাপের এই বছরে ট্রফির আগমন দেশের আলোচিত বিষয় হবে। আমরা আশা করি ফুটবল উন্মাদনার বছরে ট্রফি ট্যুর আমাদের ফুটবলকে গতিময় করতে সহায়ক হবে।’
