১৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি চট্টগ্রামের বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা ভয়াবহ আগুন।
ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা বলছেন, কনটেইনারগুলোতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড দাহ্য কেমিক্যাল পুড়ছে। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
কোন কনটেইনারে কি আছে সে তথ্যও জানা নেই ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের। যে কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। ইতোমধ্যে পাঁচজন ফায়ার সার্ভিসকর্মী নিহত হয়েছেন বলে খবর।
রোববার সকাল ১০টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর চট্টগ্রামের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন।
তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে মালিকপক্ষ কাউকে পাচ্ছি না। মালিকদের কাউকে পেলে আমরা জানতে পারতার কোন কনটেইনারে কী আছে। এটি আমাদের জানা নেই। এ জন্য উদ্ধারকাজে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে।
মহাপরিচালক বলেন, আমরা এখনো ভেতরে পুরোপুরি ঘুরতে পারছি না। এ ঘটনায় ফায়ারের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যে কমিটি করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার সেকশনের বিশেষ টিম কাজ করছে। কনটেইনারগুলোতে যেহেতু কেমিক্যাল, সে জন্য ঢাকা থেকে ফায়ারের ২০ সদস্যের হেজবোর্ড টিম আনা হচ্ছে। তারা বিদেশ থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (দুপুর পৌনে ১২টা) আগুনে ফায়ার সার্ভিসকর্মীসহ ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চার শতাধিক।
রোববার সকালে রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে নিহত ৩৩ জনের তালিকা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করা হয়।
আহতদের মধ্যে শ্রমিক, পুলিশ সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা রয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অনেককে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ওই ডিপোতে ৫০ হাজারের বেশি কনটেইনার রয়েছে। কেমিক্যাল কনটেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন লাগার পর কনটেইনারগুলো একের পর এক বিস্ফোরিত হতে থাকে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে তিন-চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।