বরিশালের উজিরপুরে দুর্ঘটনাকবলিত যমুনা লাইন পরিবহণ একের পর এক গাড়ি ওভারটেক করছিল। গাড়ি ওভারটেক করে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে গাছের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে প্রাণহানি ঘটেছে ১০ জনের।

রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বরিশালের উজিরপুরে বামরাইল এলাকায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ওই বাসের যাত্রী মো. আনিস জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়ার পর সাভার অতিক্রম করে বিকল হয়ে গিয়েছিল। দুই ঘণ্টা মেরামত শেষে যাত্রীরা ঠেলা দিয়ে গাড়িটি সচল করলে বেপরোয়াগতিতে বরিশালের ভাণ্ডারিয়ার দিকে ছুটছিল। তখন একের পর এক গাড়ি ওভারটেক করছিল। গাড়ি ওভারটেক করে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে গাছের ওপর আছড়ে পরে। যাত্রী আনিসের বাড়ি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার রাজপাশা গ্রামে।

অন্য একটি গাড়ির চালক সিদ্দিক হোসেন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ির বাম পাশের সামনের টায়ার পাংচার (টায়ার ফাটা) দেখা গেছে। এতে মনে হচ্ছে দ্রুতগতির যানটি টায়ার ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা লাগতে পারে।

বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুর রহমান খানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- বিআরটিএর উপপরিচালক এবং উজিরপুর থানার ওসি আর্শাদ আলী। এ কমিটি আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। এছাড়া প্রত্যেক নিহতের স্বজনকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। আহতদের চিকিৎসা ব্যয় সরকার বহন করবে।

রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বরিশালের উজিরপুরে বামরাইল এলাকায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে যমুনা লাইন পরিবহণের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ১০ যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশু ও নারীরাও রয়েছে। এ ঘটনায় আরও ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন।