ইভিএমে কারচুপি করার কোনো সুযোগ নেই। যার ভোট তাকেই দিতে হবে। ব্যালটের চেয়ে অধিক নিরাপদ ইভিএম। নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আচরণবিধি ভঙ্গ করলে প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে। ভোট কেন্দ্র এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার কোনো সুযোগ নেই। যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা।

রোববার বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ঝিনাইদহ সদর পৌরসভা, পাগলাকানাই ও সুরাট ইউনিয়নের প্রার্থীদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন, নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান।

জেলা প্রশাসক মনিরা বেগমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান তালুকদার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা খুলনা মো. ইউনুচ আলী, পুলিশ সুপার মো. মুনতাসিরুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুস ছালেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল বাশারসহ সংশ্লিষ্টরা।

১৫ জুন ঝিনাইদহ সদর পৌরসভা এবং সদর উপজেলার সুরাট ও পাগলাকানাই ইউনিয়নের নির্বাচন। সে উপলক্ষে প্রার্থীদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। প্রার্থীরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নিরাপত্তা এবং ইভিএম ব্যবহারসহ নানা বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত প্রার্থীরা ভোট কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সিসিটিভি সংযুক্তির ওপর জোর দেন।

প্রার্থীদের বক্তব্যের জবাব দেন নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার যে অঙ্গীকার করেছে, সে অঙ্গীকার পূরণ করা এবং দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ অধিকতর বিকাশে সুষ্ঠু নির্বাচন আবশ্যক বিধায় তা কার্যকর করা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ ও ঐকান্তিকতা এবং পূর্ণ দক্ষতার ওপর নির্ভরশীল। প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যাতে আচরণবিধি প্রতিপালন করে সেই লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্তক থাকতে নির্দেশ দেন তিনি।

সভায় জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ এবং প্রভাব মুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য পৌর এলাকায় ইতোমধ্যে তিনজন এবং ইউনিয়নগুলোতে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।