প্রায় সাড়ে ১১ ঘন্টা পর শনিবার সকালে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এরআগে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা-রংপুর রুটের গাজীপুরে কালিয়াকৈরের মৌচাকে ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সামনের দুইটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় চার সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ও মৌচাক স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার শাহিনুর রহমান জানান, পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা-রংপুর রেলরুটের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক স্টেশন এলাকা অতিক্রম করছিল। এসময় হঠাৎ ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সামনের দুইটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনার পর ঢাকার সঙ্গে খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুরসহ উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে থেমে থাকে উত্তরবঙ্গ ও ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেসসহ একাধিক ট্রেন। খবর পেয়ে রাতে উদ্ধার কর্মীরা রিলিফ ট্রেন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। দীর্ঘ চেষ্টার পর দুর্ঘটনা কবলিত বগি দুইটি উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হন তারা। এরপর শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘটনাস্থল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলে ওই রুটে পুনঃরায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (পাকশী রেল বিভাগ) শাহীদুল ইসলাম জানান, গাজীপুরের মৌচাকে শুক্রবার রাত ১০টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সামনের দুইটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় চার সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার রাতে ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ঢাকার সঙ্গে খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুরসহ উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে বিভিন্নস্থানে একাধিক ট্রেন আটকা পড়ে। এতে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ ট্রেনের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দীর্ঘসময় অপেক্ষার পর অনেক যাত্রী বিকল্প পথে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তবে নিরাপত্তাহীনতাসহ নানা আশঙ্কায় অনেক যাত্রী ট্রেনেই রাত যাপন করেন। আবার অনেকে নির্ধারিত ট্রেনের অপেক্ষায় স্টেশনে রাত কাটান।