গাজীপুরের নিবন্ধন না থাকায় ও মেয়াদোত্তীর্ণ নিবন্ধনে হাসপাতাল পরিচালনা করায় তিনটি হাসপাতালকে জরিমানা (অর্থদন্ড) ও দুই হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। শুক্রবার শ্রীপুরে উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার এলাকার এ তিনটি হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ তরিকুল ইসলাম। এসময় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রণয় ভুষণ দাস উপস্থিত ছিলেন।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রণয় ভুষণ দাস বলেন, সারা দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ঘন্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। গত বুধবার এ নির্দেশ দেয়া হয়। এরই প্রেক্ষিত্রে শুক্রবার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার এলাকার তিনটি হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানকালে নিবন্ধন সনদ না থাকায় মাওনা পপুলার মেডিকেল সেন্টার ও আনোয়ারা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও আদায় করেন আদালত। এসময় এ দু’টি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়াও নিবন্ধনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় কোয়ালিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে তিন হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, সরকারী নির্দেশনা না মেনে শ্রীপুর উপজেলার যে সকল হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও রোগ নির্ণয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্য নেয়া হচ্ছে কিনা তারও খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
গাজীপুরে লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক পরিচালনা ও ভূয়া ডাক্তার দিয়ে গর্ভপাতের অভিযোগে মহানগরীর মীরের বাজার এলাকার জনসেবা স্বাস্থ্য কেন্দ্রর পরিচালককে তিনমাসের কারাদন্ড দিয়েছে অপর একটি আদালত। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থান্দার কামরুযজ্জামান বৃহষ্পতিবার এ অভিযান পরিচালনা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থান্দার কামরুযজ্জামান বলেন, ভূয়া ডাক্তার দিয়ে গর্ভপাত এবং লাইসেন্স ছাড়া জনসেবা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্লিনিকটি পরিচালনা করা হচ্ছিল। ক্লিনিকের পরিচালক জাহানারা খাতুন নিজে নার্সিং প্রশিক্ষণ নিয়ে ডাক্তার সেজে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। খবর পেয়ে ওই ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে রোগীর গর্ভপাত করার সময় হাতেনাতে তাকে আটক করা হয়। এজন্য পরিচালক জাহানারা খাতুনকে তিন মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এর আগেও একই অভিযোগে তাকে দুই মাসের কারাদন্ড ও জরিমানা করা হয়।