মানি লন্ডারিং এর সাথে জড়িত, ভারতে গ্রেফতার হওয়া প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পিকে হালদার) দেশে ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মাননীয় কমিশনার ডক্টর মো. মোজাম্মেল হক খান। শুক্রবার সকালে মাদারীপুরের পাঁচখোলা এলাকায় ড. মোজাম্মেল হক খান কলেজে দুর্নীতি বিরোধী আন্ত:কলেজ মডেল বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডক্টর খান আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সজাগ থাকার জন্য, সোচ্চার হওয়ার জন্য, দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরী করার জন্য একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। শিক্ষার্থীদের মস্তিস্কের মধ্যে যদি দুর্নীতি বিরোধী চিন্তাধারা প্রবেশ করে তা হলে তারা ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রে নিজেদের দুর্নীতি মুক্ত রাখতে পারবে। প্রতিযোগিতা শুরু পূর্বে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। কর্মশালা পরিচালনা করবেন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাদের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় দক্ষতা ও সুনাম রয়েছে সে সব গুনীজন। কর্মশালা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জেলার ৪৮টি কলেজ ও মাদ্রার শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

দুদক কমিশনার আরো বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের দুই আদালতে পিকে হালদারের বিচার হবে। পিকে হালদার যেহেতু বাংলাদেশের নাগরিক, দেশের অর্থ পাচারের সাথে জড়িত। অর্থ পাচার কর্মকান্ডের মহানায়ক। ইতিমধ্যে পিকে হালদারের কয়েকজন সহযোগিদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ৩৫ টি মামলা হয়েছে। পিকে হালদারের সহযোগীরা অর্থপাচারের বিষয়টি আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আমরা আইনিভাবে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাকে দেশে এনে আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞেসাবাদ করতে পারলে আরো অজানা তথ্য বের হয়ে আসবে। এসব তথ্য মামলা নিষ্পত্তি করতে সহায়তা করবে।

মোজাম্মেল হক খান আরো বলেন, আমাদের দূর্নীতি দমন কমিশনের কাজ হচ্ছে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও প্রতিকার করা। আমরা মূলত প্রতিরোধের ব্যাপারে বেশি গুরুত্বারোপ করে থাকি। যখন কোন অর্থ পাচারের অভিযোগ আসে সাথে সাথে এসব ঘটনায় জড়িতদের নামের তালিকা করা হয়। সব সময় এসব অপরাধীদের নামের তালিকা আপডেট হচ্ছে। যারা দেশের টাকা পাচার করেছে এবং করছে তাদের নামের তালিকা করা হচ্ছে। এগুলো যারা করে দেশের বাহিরে পালিয়ে গিয়েছে সে সকল অপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (আইসিটি ও প্রশিক্ষণ) এ কে এম সোহেল, ঢাকা বিভাগের পরিচালক মো. আক্তার হোসেন, ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের চেয়ারম্যান এ কে এম শোয়েব, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, ড. মো. মোজাম্মেল হক খান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুল হালিম, মাদারীপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রীনিবাস, মাদারীপুর দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আতিকুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাইনউদ্দিনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, শিক্ষকবৃন্দ।

সাবরীন জেরীন,মাদারীপুর।