এ্যাঞ্জোলো ম্যাথিউস শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে অভিজ্ঞ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। কেন তিনি অভিজ্ঞ তা তিনি এর আগেও বাংলাদেশ সফরে বুঝিয়েছেন। এবারও তার ব্যাতিক্রম হলো না। চট্টগ্রাম টেষ্টে ১৯৯ রানের আক্ষেপটা হয়তো মনের ভেতরে পুষে রেখেছিলেন। ঢাকার উইকেটে চট্টগ্রামে ডাবলস সেঞ্চুিতে থেকে ১ রান (১৯৯) দূরে থেকে সাকিবের বলে আউট! সেই শোধটাই হয়তো এবার নিতে চাইছেন ম্যাথিউস!

মিরপুরে ৪র্থ দিনের লাঞ্চ-র পর লঙ্কান স্কোর ৪৩০/৫, আগের দিন ২৬৬ থেকে ৪৩০/৫, মানে ১৬৪ রান এই ৬ষ্ঠ জুটি আজ যোগ করেছে। অটল বিশাল এক পাহাড়ের মতোই বাংলােদেশের বোলারদের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন ম্যাথিউস। চান্দিমালকে সঙ্গে নিয়ে ৬ষ্ঠ জুটিতে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বুঝিয়ে দিলেন বাংলাদেশ হোম গ্রাউন্ডেও কিছু করার ক্ষমতা রাখে না।

বড় একটি লিডের দিকেই চলেছে লঙ্কান ব্যাটিং। হয়তো এভাবে চললে মিরপুর টেষ্টের ভাগ্যটাও চট্টগ্রামের মতোই হবে। এ যেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং অনুশীলন।

মিরপুর টেষ্টে বাংলাদেশ ২৪/৪ থেকে ৩৬৫ অলআউট। এরপর লঙ্কাদের ৪ উইকেটে ১৬৪ থেকে ৫ উইকেটে ২৬৬ রানে টেনে নিতে বড় ভূমিকা ছিল ম্যাথিউসের। গতকাল বৃষ্টির হানায় অনেকটা সময় নষ্ট হলে সন্ধ্যা অবদি খেলা চলে। তৃতীয় দিন শেষে ৫৮ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাথিউস হোটেলে ফিরে যান।
আর আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোন সুযোগ না দিয়েই ক্যারিয়ারের ৯৬তম টেষ্টে ১৩তম সেঞ্চুরিটা আদায় করে নিলেন।

চট্টগ্রামের ১৯৯ আর মিরপুরে ২৭৫ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কা দিয়ে ১০০! লঙ্কানরা এরই মধ্যে ৬৬ রানের লিড নিয়ে নিয়েছে। ম্যাথিউসে সঙ্গী দিনেশ চান্দিমালও সেঞ্চুরির পথেই হাটছেন, ৮৬ রানে ব্যাট করছেন।

বাংলাদেশের বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে চান্দিমাল ১২তম টেষ্ট সেঞ্চুরিটা আদায় করলেন দুপুরের দিকে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্কোর ৪৩০/৫. লিড ৬৬। ম্যাথিউস তখন ১১০ রানে ব্যাট করছেন।