বাংলাদেশ জাতীয় দলের বোলিং কোচ ডোলান্ড বিসিবির সঙ্গে চুক্তি বদ্ধ হবার পর থেকেই টাইগার বাহিনীর পেস বিভাগে আলাদা দৃষ্টি পড়েছে সকলের। কারণ ডোলান্ড ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এক সময়ের সেরা পেস তারকা।
সাবেক এই পেস তারকা টাইগাদের বোলিং আক্রমনের শিক্ষকের ভূমিকায় দিন দিন বাংলাদেশ উন্নতি করছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওডিআই সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় হলেও টেষ্টে ভরাডুবির ঘটনার পর থেকে বোলিং নিয়ে আরো কাজ শুরু করেছেনে এই সাবেক তারকা।
আজ চট্টগ্রামের সাগরিকায় দলের অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে জানালেন টাইগারদের বোলিং বিভাগ নিয়ে অনেক কথা। সঙ্গে এই সিরিজে নিজেদের চাওয়াটাও জানিয়েছে।শুরুতেই তিনি পেসার শরিফুল নিয়ে কথা বলেন।
ডোলান্ড বলেন, “শরিফুলকে দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ ছিলাম বিশেষ করে ওয়ানডেতে। আমি তাকে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দেখেছি। তিনি খুব চিত্তাকর্ষক ছিল. বাংলাদেশ যখন বিশ্বকাপ জিতেছিল তখন তাকে ইতিমধ্যেই উচ্চ মূল্য দেওয়া হয়েছিল ‘
বর্তমান দলের দুই তারকা পেসার এবাদত ও খালেদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি আমার জন্য সবচেয়ে বড় চমক ছিল এবাদত এবং খালেদ। আমি তাদের ক্ষমতা বিস্মিত. ফাস্ট বোলিং হল বিশাল সাহস এবং সংকল্প। আমি এর আগে টেস্ট ম্যাচে দুই স্পিনার এবং দুই সিমারকে দেখিনি। কিন্তু তারা যেভাবে নিজেদের পরিচালনা করেছে, বিশেষ করে ডারবানে তারা দুর্দান্ত ছিল।
আমি মনে করি প্রতিটি একক প্রশিক্ষণ সেশনে আমরা যে আলোচনা করেছি, এবং এর থেকে আমরা যে শিক্ষা লাভ করি তা যথেষ্ট। আমরা যেখানে যাচ্ছি তাতে আমি সন্তুষ্ট।’
সাগরিকার উইকেটে প্রসঙ্গে ডোলান্ড বলেন,“আমি এইরকম পিচ পাকিস্তান, ভারত এবং শ্রীলঙ্কায় খেলার অভিজ্ঞতা একই রকম। গত কয়েক দিনের প্রশিক্ষণে শুধু নতুন বলে জোর দেওয়া হয়েছিল, সেই নতুন বলটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে আমাদের হট জোন খুঁজে বের করতে হবে এবং এতে অনেক বেশি সময় বিনিয়োগ করতে হবে। ভাল বল, ইনসুইং, আউটসুইং খুঁজতে হবে না। আমাদের সব বলেই নজর দিতে হবে ‘
তিনি আরো বলেন,“এখানে সবচেয়ে বড় জিনিস হল পুরানো বল। আজ পুরোনো বলে অনুশীলণ হয়েছে। প্রতিটি প্রশিক্ষণ সেশনে, আমি বলটি বিপরীত করার উপর অনেক জোর দিয়েছি। এবং পুরানো বলের সাথে সত্যিই ধৈর্যশীল এবং সৃজনশীল হতে হবে। আমাকে এই ছেলেদের তাদের কন্ডিশনে বোলিং করার কথা বলতে হবে না। কিন্তু আমরা যে সামগ্রিক ধৈর্য, এবং অধ্যবসায় এবং সৃজনশীলতা নিয়ে এসেছি তা পরীক্ষা হতে চলেছে।
কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের টেষ্ট দলে না থাকা নিয়ে ডোলান্ড বলেন,“আমি ফিজের (মুস্তাফিজ) বিশাল ভক্ত। আমি মনে করি সে একজন চমৎকার সাদা বলের বোলার। আমার কাছে ভাল লাগে এখানকার বাচ্চারা সঠিক প্রশ্ন করে এবং শিখতে চায়। এবাদত, খালেদ এবং শরিফুল সমতল পিচে বোলিং করতে কী কী লাগে তা জানেন এবং বোঝেন। এটি একটি দীর্ঘ শেখার প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ খুব বেশি টেস্ট খেলেনি, তাই কোনো সাবলীলতা ও ধারাবাহিকতা নেই। তারপর আপনি সরাসরি সাদা বলের ক্রিকেটে যান। সামনে বিশ্বকাপ আছে, তাই আবারও একধাপ পিছিয়ে যেতে হবে। কাজের চাপ নিয়ে আমি চিন্তিত নই। ছেলেরা এখন পর্যন্ত সত্যিই ভালো করেছে। আমার কাজ হল ফাস্ট বোলাররা দারুণ মানসিক জায়গা এবং কন্ডিশনে সঠিক পথ নিশ্চিত করা। রাসেল সেটা দেখভাল করবে।