ডায়রিয়ায় আক্রান্ত সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপিকে রাজশাহী থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

বুধবার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রাজশাহীর হজরত শাহ মখদুম রহ: বিমানবন্দর থেকে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রওনা করে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি হাসপাতালের ভিভিআইপি কেবিনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বুধবার সকালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর কামরুল ইসলামের চিকিৎসায় রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা: খলিলুর রহমানকে প্রধান করে নয়জন চিকিৎসককে নিয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। তারা তাকে পর্যবেক্ষণের পর ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী সাংবাদিকদের জানান, কামরুল ইসলামের কমপক্ষে ৯-১০ বার পাতলা পায়খানা হয়েছে। ভর্তির পর তাকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়। পাতলা পায়খানার কারণে তার শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। ব্লাড প্রেশার একটু কমেছে। তবে এরপরো তার জন্য আইসিইউসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের জরুরি ব্যবস্থাপনা প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। তবে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম গত মঙ্গলবার রাজশাহীতে পৌঁছান। আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সদস্য নির্বাচন-২০২২ উপলক্ষে রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত প্যানেলের পরিচিতি সভায় যোগদানের কথা ছিল তার। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই সভায় যোগ দিতে পারেননি তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এই মন্ত্রী ঢাকা-২ আসনের এমপি।

এদিকে দুপুরে রামেক হাসপাতালে কামরুল ইসলামকে দেখতে যান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি দলের এই সিনিয়র নেতার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

এ সময় রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এবং কামরুল ইসলামের জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা: মোঃ খলিলুর রহমান ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: নওশাদ আলীসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও দলীয় নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।